আজ ১১ জুলাই, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি।’ আমেরিকার সরকারি পরিসংখ্যান দপ্তর ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্যমতে, বিশ্বের বর্তমান মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।
১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির তৎকালীন গভর্নিং কাউন্সিল এই দিনটি পালন করার কথা বিবেচনা করেন। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথম এই দিনটি পালন করা হয়। প্রথম বছরই বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশ এই দিনটি পালন করে। তারপর থেকেই সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১১ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, জনসংখ্যা রাষ্ট্রের অন্যতম মূল উপাদান। টেকসই উন্নয়নে পরিকল্পিত ও দক্ষ জনসংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। জনসংখ্যাকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেখে বিদ্যমান সম্পদের পরিবেশবান্ধব ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
অপর বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবার পরিকল্পনা সেবাগ্রহীতার হার বৃদ্ধি পেলে মা ও শিশুমৃত্যু কমে, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ হয়। সন্তান কম থাকলে স্বল্প আয়েও আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকা যায়। পরিকল্পিত পরিবার খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মানবাধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে পরিবার পরিকল্পনার বিকল্প নেই।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করেন।