ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ঈসমাইল হোসেনকে (৩৫) ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নম্বর আমলি আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তনয় সাহা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঈসমাইল হোসেনকে থানা পুলিশ আদালতে পাঠানোর পর বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে ঈসমাইলকে একমাত্র আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
সূত্র জানায়, গত ৯ জুলাই থানায় এই অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ ঈসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে এনে আটক করে।
ঈসমাইল হোসেন হালুয়াঘাট উপজেলার কালিয়ানীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা মো. সুরুজ আলীর ছেলে। তার স্ত্রীসহ দুই সন্তান রয়েছে।
ময়মনসিংহের সহকারী পুলিশ সুপার (হালুয়াঘাট সার্কেল) সাগর সরকার বলেন, থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ঈসমাইলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই কিশোরীর মা বলেন, মানুষের বাড়িতে কাজ করে আমি সংসার চালাই। কিছুদিন আগে ঈসমাইল ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে কাজে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ৬ জুলাই রাতে আমি কাজে থাকার সুযোগে ঈসমাইল আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।
ওই কিশোরী বলেন, ঈসমাইল আমাকে বিয়ে করবে না বলে হুমকি দিয়ে চলে গেছে। এলাকার মানুষদের কাছে বিচার দিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
তবে ঈসমাইলের ছোট ভাই মো. এনামুল হক বলেন, ওই কিশোরী আমার ভাইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী। সম্প্রতি তাকে তালাক দেওয়ায় এলাকার কিছু লোকের উসকানিতে ঈসমাইলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করিয়েছে। বর্তমানে ঈসমাইল কারাগারে আছে। বিস্তারিত পরে সাংবাদিকদের জানানো হবে।