সুদমুক্ত ঋণসহ বাংলাদেশকে চার ধরণের সহযোগিতা করতে চীন সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, রেয়াতি ঋণ এবং বাণিজ্যিক ঋণ এই চার ধরণের সহযোগিতা করবে চীন।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের ওপর আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাইনিজ প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অব্যাহত ভাবে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সহযোগিতা করতে বাংলাদেশে টেকনিক্যাল কমিটিও পাঠাবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুদেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও দ্বিপাক্ষিক বিষয়- যার মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান কমানো, অর্থপূর্ণভাবে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর ব্যবস্থা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার বিষয়ে দুদেশ সম্মত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর ওপর জোর দেন জানিয়ে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ পণ্য আমদানী করেছে অথচ রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা খুবই কম বলে তাদের জানানো হয়। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চীনকে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়াতে বলা হয়েছে।
চীন বাংলাদেশে থেকে আম আমদানির বিষয় উল্লেখ করেছে। সেই সঙ্গে সিপিপিসিসি নেতারা বলেছেন, তারা বাংলাদেশ থেকে মানসম্পন্ন পণ্য আমদানীর ব্যবস্থা নেবেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে চীনের সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে এই ইস্যুটি সবচেয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।
সাড়ে ছয় বছর ধরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি বলে চীনকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, চীনা পার্টির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা চীনা পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্স (সিপিপিসিসি) চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এই ব্যাপারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।
এসএম