দেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন পদের ১৯৫টি উপনির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে আজ (বুধবার) মাঠে নামছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার হোসেন এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের শূন্য পদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদের উপনির্বাচনের উদ্দেশে ২৭ জুলাই অনুষ্ঠানের জন্য সময়সূচি ঘোষণা করেছে কমিশন। নির্বাচন উপলক্ষ্যে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করণের জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণার্থে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের জন্য ১ জন করে ১০ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট ১৬ দিনের জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ জন করে ২৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোট ৩ দিনের জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এছাড়া সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে উপনির্বাচনে প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ২ জন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে উপনির্বাচনের জন্য ১ জন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ২৬ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত মোট ০৩ দিনের জন্য নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
কোনো ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান/সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের শূন্য পদে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১ (এক) জন হলে অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে সে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হবে না।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে থেকে অথবা চাহিদা অনুসারে নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতব্য মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স বিশেষ করে বিজিবি/কোস্টগার্ডের মোবাইল টিমের সাথে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্যও নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। তবে স্থানীয় চাহিদা, ভোটকেন্দ্রের অবস্থান ও ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা, ওয়ার্ড বিন্যাস ইত্যাদি বিবেচনায় এবং বাস্তবতার নিরিখে রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা হলে তদনুযায়ী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা যাবে।