বাণিজ্য-বিনিয়োগে গুরুত্ব দিয়ে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর। এর মধ্যেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চীনের ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশেরই আয়োজনে হতে যাচ্ছে এক বিজনেস সামিট। এই বিজনেস সামিট বাংলাদেশের অর্থনীতির নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
সোমবার (৮ জুলাই) রাতে চীনের বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এসব কথা বলেন। বেইজিং ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিটের অন্যতম আয়োজক বিএসইসি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আজকে বাংলাদেশ থেকে আসা ব্যবসায়ীরা চীনের ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছেন। আগামীকাল বিস্তারিত আলোচনা শেষে আমরা ভালো কিছু পাবো বলে বিশ্বাস করি। এই সামিটের মাধ্যমে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগের নতুন ধার খুলবে বলে প্রত্যাশা করি।
তিনি আরো বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে অতীতে আমারা যেসব রোড শো করেছি তার চেয়ে আমরা এবার অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছি। এই আয়োজন নিয়ে এখানে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা দেখতে পাচ্ছি। আশা করছি চীনের সাথে আমাদের বন্ধুত্বের যে সম্পর্ক আছে সেটা আরো মজবুত হবে। সম্পর্কের আরো একটা নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিএসইসি, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) ও বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস যৌথভাবে বেইজিং ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট আয়োজন করেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বড় বড় অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বাংলাদেশে চীনের শিল্প স্থাপন, বাণিজ্য ঘাটতি কমায়ে আনা সাত বিলিয়ন ডলারের ঋণসহায়তা ও দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নে চীন সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ জুলাই চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি চীনের বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইট এদিন সকাল ১১টা ১০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। এরপর বেইজিং স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি বেইজিং অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে চীনের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে বলে জানা গেছে।
এসএম