হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রার কারণে মতিঝিলের সড়কের দু’পাশে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফলে মতিঝিলের সড়কে নিত্য দিনের কোলাহল নেই। নেই হকারদের হাঁকডাক। বরং কার্যদিবসেও বেশ ফাঁকা মতিঝিলের সড়ক।
রোববার (৭ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে এ চিত্র দেখা যায়।
সাধারণত কর্মদিবস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হকারদের সদাই নিয়ে বসা শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে হকারদের উপস্থিতিও বাড়ে; সাথে বাড়তে থাকে হকারদের ভীড়। দুপুরের পর থেকে ফুটপাত রূপ নেয় বিকিকিনির কেন্দ্রে। সেই ভীড় গিয়ে গড়ায় গাড়ি চলাচলের সড়কে।
মতিঝিলের সব চেয়ে বেশি হকার বসে আলিকো ভবনের সামনে, সোনালী ব্যাংকের সামনে, মতিঝিল মেট্রো স্টেশনের পূর্বদিক, বাইতুল মোকাররম মসজিদের সামনে ও পুরানা পল্টনে ব্যাংক এশিয়ার সামনে। রোববার সকালে দেখা যায় এ সব ফুটপাতে কোনো হকার নেই। তাই ফুটপাতে চলার পথে নিত্যদিনের ঝক্কিও নেই।
রোববার সকালে সোনালী ব্যাংকের পাশে দেখা যায় মাত্র দুইজন হকার বসে আছে। একজন সংবাদপত্র বিক্রেতা আরেক জন রাবার স্ট্যাম্প তৈরি করা হকার। তার পাশে বসে গল্প করছে আরও তিনজন হকার।
তাদের একজন সংবাদপত্র বিক্রেতা জানান, আজ বিকেলে মতিঝিলের সড়ক দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের রথ যাবে এ কারণে গতকাল পুলিশ হকারদের সড়কে বসতে নিষেধ করেছে, এ জন্য কোনো হকার বসেনি। আমি সংবাদপত্র বিক্রি করি এ জন্য এসেছি।
ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রা আজ (৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। যাওয়ার পথে স্বামীবাগ রোডের স্বামীবাগ আশ্রম (ইসকন, ঢাকা) থেকে জয়কালি মন্দির মোড় থেকে ইত্তেফাক মোড়, শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, রাজউক ক্রসিং, গুলিস্তান, গোলাপশাহ মাজার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল, পলাশী অতিক্রম করবে।
এমআই