দেশে দুই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এই পুরো সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও তাতে লাভ হয়নি। বরং মূল্যস্ফীতি উচ্চ স্তরেই রয়েছে, মাঝেমধ্যে কেবল সামান্য একটু ওঠানামা করছে। সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ। একই সঙ্গে কমেছে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও।
রোববার (৭ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিএসের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, জুন মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ হয়েছে, গত মে মাসে যেটি ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। চলতি বছরের শুরুতে দেশে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া খাদ্য মূল্যস্ফীতি মে মাসের তুলনায় জুনে কমেছে শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ। জুনে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ। মে মাসে যেটি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
এদিকে মে মাসে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ থাকলেও জুন মাসে সেটি কমে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া জুন মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি একধরনের কর; ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতি। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়েন। দুই বছর ধরে চলা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়ছে মানুষের যাপিত জীবনে।
এমআই