দেশের বিনিয়োগ খাত আরও শক্তিশালী করার জন্য শেয়ারবাজার ও ব্যাংক সংস্কারের সুপারিশ থাকছে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়। এই পরিকল্পনার পটভূমিতে বলা হয়েছে, বিনিয়োগের উৎস হিসেবে শেয়ারবাজার সংস্কার ও শক্তিশালী করতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণের বিষয়টি ব্যাংক খাতের স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে। সে জন্য ব্যাংক খাতের ওপর তদারকি ও নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পটভূমি নিয়ে বৈঠক করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ বছর ধরেই মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে বিনিয়োগের অংশ ৩১ থেকে ৩২ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করেছে। আর বেসরকারি বিনিয়োগের অংশ ২৩ থেকে ২৪ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।
এ জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন, এমন কথা বলা হবে নতুন পরিকল্পনায়।
বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস-বিদ্যুতের দাবি জানিয়ে আসছেন উদ্যোক্তারা। দেশে বর্তমানে দৈনিক ১২ থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে দৈনিক ৩০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন সচিবেরা। এ ছাড়া ঢালাওভাবে সড়ক, মহাসড়ক, সেতুসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের পরিবর্তে প্রয়োজন অনুসারে তা বানানোর পক্ষে মত দিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে আগামী ২০৩১ সালের মধ্যে দেশে অতিদারিদ্র্যের হার কমিয়ে ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে চায় সরকার। এ ছাড়া সার্বিক দারিদ্র্যের হার ২০৪১ সালের মধ্যে সরকার ৩ শতাংশের নিচে নামাতে চায়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, বর্তমানে দেশে অতিদারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ এবং সার্বিক দারিদ্র্য ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। অতিদারিদ্র্যের হার ৩ শতাংশের নিচে নামলেই একটি দেশকে পরিসংখ্যানগত দিক থেকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করা যায়।
এমআই