যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে শনিবার (৬ জুলাই) টেলিফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান মোদী। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) কাজ দ্রুত কার্যকর করার বিষয়ে সম্মত হন উভয় রাষ্ট্রপ্রধান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করেছেন। পাশাপাশি তারা ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও অগ্রসর করার জন্য প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফোনালাপে যুক্তরাজ্যের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে ভারতীয় সম্প্রদায়ের ইতিবাচক অবদানের প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতা সাধারণ জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে রাজি হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে কথা বলে আমি আনন্দিত। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাকে অভিনন্দন। আমরা আমাদের জনগণের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব ও দৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সদ্য বিদায় নেওয়া ঋষি সুনাককে শুভকামনা জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ঋষি সুনাক, প্রশংসনীয় নেতৃত্ব ও দায়িত্বে থাকাকালীন ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে আপনার সক্রিয় অবদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার ভবিষ্যৎ ও আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
৪ জুলাই শেষ হওয়া যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। এর মাধ্যে দেশটিতে কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনামলের পতন ঘটেছে।
শনিবার (৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে স্টারমার বলেন, যে যাকে ভোট দিক না কেন, দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সব নাগরিকদের সেবা করা আমার দায়িত্ব। যুক্তরাজ্যে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অবিলম্বে দেশের পুনর্গঠন শুরু হবে।