সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এ সময় নতুন করে কারও মৃত্যুর তথ্য মেলেনি। ফলে চলতি বছরে মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬ জনে স্থির রয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ১৩ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৭ জন, চট্টগ্রামে একজন এবং খুলনা বিভাগে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট তিন হাজার ৮৬৬ জন। যাদের মধ্যে দুই হাজার ৩৩৭ জন পুরুষ (৬০ দশমিক ৫০ শতাংশ) এবং এক হাজার ৫২৯ জন নারী (৩৯ দশমিক ৫০ শতাংশ)। এ সময় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৫ জন।
গত ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত মৃত ৪৬ জনের মধ্যে পুরুষ ২০ জন (৪৩ দশমিক ৫০ শতাংশ) এবং নারী ২৬ জন (৫৬ দশমিক ৫০ শতাংশ)।
প্রতিবছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার আটজন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মানুষ মশাবাহিত এ রোগে মারা যান। দেশের ইতিহাসে এক বছরে ডেঙ্গু রোগে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জন মারা যান।