ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
একাদশে প্রথম ধাপের মাইগ্রেশন-দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে প্রথম ধাপের মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় ধাপের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পর এ ফল প্রকাশ করা হয়। এতে যারা প্রথম ধাপে কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হননি বা আবেদন করেননি তারাই দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করেন। প্রথম ধাপে যারা কাঙ্ক্ষিত কলেজ পাননি তারা মাইগ্রেশনের জন্য আবেদন করেন। উভয়ের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
একাদশে ভর্তির জন্য তৈরি করা কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। যারা দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির জন্য কলেজ পেয়েছে এবং যাদের মাইগ্রেশনে কলেজ পরিবর্তন হয়েছে তাদের আবেদনে দেওয়া মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডে জানিয়েছে, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির লক্ষ্যে পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম মাইগ্রেশনের ফল, এবং ২য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। ২য় পর্যায়ের আবেদনের ভিত্তিতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, নির্বাচন নিশ্চায়নের জন্য নিজ পোর্টালে লগ ইন করে পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নিশ্চায়নের ফি প্রদান করে নির্বাচন নিশ্চায়ন করতে হবে। নির্বাচন ও নিশ্চায়ন সংক্রান্ত নির্দেশিকা এই লিঙ্কে এবং পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ফি প্রদান করতে অসুবিধা হলে সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে নিশ্চায়ন ফি প্রদান করে নিশ্চায়ন করতে পারবেন এই লিঙ্কের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবে।
শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে যারা কলেজ পাবেন তাদের ৫-৮ জুলাই রাত ৮টা পর্যন্ত নিশ্চায়ন করতে হবে। এরপর ১২ জুলাই দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ৯ ও ১০ জুলাই তৃতীয় ধাপে আবেদন নেওয়া হবে, যার ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জুলাই রাত ৮টায়। তিন ধাপে আবেদনের পর ফল প্রকাশ, নিশ্চায়ন ও মাইগ্রেশন শেষে ১৫ জুলাই থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে আগামী ৩০ জুলাই সারা দেশে একযোগে একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
গত ২৬ মে শুরু হয়ে ১৩ জুন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়। ২৩ জুন প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৪৮ হাজার শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে পছন্দের কলেজ পায়নি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ফল জিপিএ-৫ পেয়েও প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য কলেজ মনোনয়ন পায়নি সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থী। আর একজনও শিক্ষার্থী পায়নি ২২০টি কলেজ।
চলতি বছর এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। সারা দেশে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ২৫ লাখের মতো।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিপিএমসিএ’র প্রথম নির্বাচিত সভাপতি ডা. শেখ মহিউদ্দিন

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হয়েছেন আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ডা. শেখ মহিউদ্দিন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতি দুই বছর অন্তর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার ১৫ বছরে সরাসরি কোন নির্বাচন হয়নি। এতোদিন সিলেকশনের মাধ্যমেই কতিপয় পদবীধারীরা পদে আসীন হয়েছেন। এবার প্রথমবারের মতো সরাসরি ভোটে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকদের সংগঠনে সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন তারা।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সদস্যরা ভোট দিয়ে বিপিএমসিএ এর নেতৃত্ব নির্বাচিত করেছেন।
ডা. মো. মঈনুল আহসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচন বোর্ড বুধবার রাত ১০ টায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করেন। মহিউদ্দিন-মুকিত পরিষদ থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ঢাকার বসুন্ধরা আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজের ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর নির্বাচিত হয়েছেন।
সভাপতি পদে ঢাকার আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ডা. শেখ মহিউদ্দীন এবং সাধারন সম্পাদক পদে সিরাজগঞ্জের নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. এম. এ. মুকিত প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
অন্যদিকে, আফরোজা-মোয়াজ্জেম প্যানেল থেকে মুন্নু মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান আফরোজা খানম রিতা সভাপতি পদে এবং ইষ্ট-ওয়েষ্ট মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন সাধারন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
বিপিএমসিএ’র কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি পদে একটি, সাধারণ সম্পাদক পদে একটি, সহ-সভাপতি পদে পাঁচটি, যুগ্মসম্পাদক পদে চারটি, অর্থ সম্পাদক পদে একটি, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একটি, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে তিনটি, আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে একটি, শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে একটি এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে তিনটি পদ-সহ সর্বমোট ২১টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ১১০ টি ভোটের মধ্যে ৯২ টি ভোট কাস্ট হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৮তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নির্দেশনা পিএসসির

৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর লিখিত পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের বিশেষ নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (১৬ জুলাই) এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের শুধুমাত্র প্রবেশপত্র ও কালো কালির বলপেন নিয়ে অবশ্যই হলে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টায় হলের মূল গেট বন্ধ করা হবে। এরপর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
পরীক্ষার হলে আসার সময় প্রবেশপত্র ও কালো কালির বলপেন ছাড়া অন্য কোনো নিষিদ্ধ সামগ্রী আনা যাবে না। আনলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রবেশপত্রে হলের নাম দেখে নিশ্চিত হয়ে হলে যাবেন। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে যথেষ্ট সময় নিয়ে হলে উপস্থিত হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৮ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৮তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরাম নিষিদ্ধের দাবি ইবি সমন্বয়কের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি বিরোধীতাকারীরা বিভিন্নভাবে জঙ্গি তকমা দিয়ে ভিন্ন মিছিল (৪ আগস্ট,২০২৪) দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় যদি ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা গোপালগঞ্জের মতো হতে বেশি সময় লাগবে না। অনতিবিলম্বে সেই মিছিলে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরামের নেতৃত্বদানকারী শিক্ষক নেতৃত্ববৃন্দ এবং তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে সিন্ডিকেট বসিয়ে ব্যক্তি ও তাদের কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলায় জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ সময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সমন্বয়ক সুইট বলেন, সেই সকলের বিরুদ্ধে দ্রুতসময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিন। যখন অন্য জায়গায় আওয়ামী শক্তিদের প্রতিহত করা হচ্ছে তখন একটি গোষ্ঠী মবের নাম দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিদেরকে অপবাদ ও হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। ইবি প্রশাসন যদি আওয়ামী দোসরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারে তাহলে আগামী যে প্রতিহত ও প্রতিবাদ হবে সেটিকে মব বললে আমরা মেনে নিবো না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এতদিনের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না।
বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার ফিরে এলে সবাইকে বিনাশ করতে বিন্দুমাত্র ভাববে না। আওয়ামী প্রীতির জন্যই আজ গোপালগঞ্জে এই ঘটনা ঘটেছে। একবছর পরেও বর্তমান সরকার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করে যেভাবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান একটি শক্তিকে পরাজিত করেছিলাম, সেভাবে আমাদের আবারও ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন মনে করি।
তিনি আরও বলেন, অতিদ্রুত গোপালগঞ্জের এসপি ও ডিসি প্রত্যাহার করতে হবে। গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের নেতাকর্মীরা ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। গোপালগঞ্জের ঘটনায় মবের মধ্যে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় বোঝা যায় ইন্টিরিম যদি পুলিশি ব্যবস্থা সংস্কার না করে তাহলে দেশে অচিরেই গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। অতিদ্রুত পুলিশি ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে বলেন, মুজিববাদের নিদর্শনগুলো ধ্বংস করার জন্য ৭ দিনের আল্টিমেটলি দিয়েছিলাম সেগুলো এখনো ধ্বংস করা হয়নি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আগামী ৩/৪ কার্যদিবসে মুজিববাদের নিদর্শন ও চিহ্নিত গুলোকে ধ্বংস করবে। এখনো জুলাই বিরোধীরাকারী শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারেননি।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সহ সমন্বয়ক তানভীর মন্ডল, গোলাম রব্বানী, সাজ্জাদ শেখ, চয়ন, ইসমাইল হোসাইন রাহাত’সহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ‘কন্ঠে আবার লাগা জোর, মুজিববাদের কবর খোড়’, ‘১, ২, ৩, ৪, আওয়ামীলীগ নো মোর, ইনকিলাব ইনকিলাব জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে, আমার ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই, নাহিদ ভাই আহত কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই, ওয়াসিম সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জুলাই শহীদদের স্মরণে ইবিতে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জুলাই শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইবি শাখা। বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (দায়িত্বরত উপাচার্য) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল গফুর গাজী, ইবি ছাত্রদল আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ’সহ দলের নেতাকর্মীরা।
ইবি ছাত্রদল আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, এই দিনে আবু সাঈদ বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল হাসিনাকে বিদায় করার জন্য। শান্ত, ফারুক, ওয়াসিমসহ এই দিনে আমাদের ৫ জন ভাই শহিদ হয়েছিল বলে আমরা এই দিনটিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা শহীদ আবু সাঈদসহ ১৫০০ শহীদের বিনিময়ে এই পরিবর্তিত দেশ পেয়েছি যেখানে ফ্যাসিস্টের কোন জায়গায় নেই। আমরা তাদের রক্ত বৃথা হতে দেব না। জুলাই আন্দোলনের সময় আমাদের যে আত্মার সম্পর্ক ছিল সেটা যেন আমরা বজায় রাখি। এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে হবে।আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে তার মানে এই না যে, আমরা একে অপরের শত্রু। আমাদের শত্রু একমাত্র আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা ও দিল্লি।
অধ্যাপক ড. গফুর গাজী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য আজকের এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রজনতার আন্দোলনের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় হয়েছে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের এই অগ্রযাত্রা যেন কোনভাবে ব্যহত না হয় সেজন্য আমাদের সকলের সচেতন থাকতে হবে। বিপ্লবে যারা এখনো অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, এই ৩৬ জুলাই কোনো বিপ্লব নয়, এটি হলো গণঅভ্যুত্থান। এই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করি। আমি হলফ করে বলতে পারি জুলাই ৩৬ এর এই অবিনাশী কোনো দিন বাংলাদেশীদের অন্তর থেকে মুছে যাবে না। যারা ষড়যন্ত্রকারী সেই ফ্যাসিস্ট গত ১৫ বছর ধরে আমাদের ঘাড়ের ওপর চেপেছিল তাদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। তাদের নেতা-নেত্রীরা দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের কৃতদাসরা রয়েগেছে। আজ গোপালগঞ্জে এনসিপির নেত্রীবৃন্দর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ঘটনার কঠোর নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, তোমরা যতোই ষড়যন্ত্র করো বাংলার দামাল ছেলেরা কখনো থামবে না। ফ্যাসিস্টরা বাংলার যে প্রান্তেই থাকুক আমরা খুঁজে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো। এই চব্বিশের চেতনাকে ধ্বংসকারী যে দলের লোকই হোক আমরা তাদের প্রতিহত করবো।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গোপালগঞ্জে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

গোপালগঞ্জে সহিংস পরিস্থিতির কারণে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সারাদেশের বাকি কেন্দ্রগুলোতে রুটিন অনুযায়ী যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
স্থগিত হওয়া বিষয়টি হলো — ভূগোল (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা ১৭ জুলাইয়ের পরীক্ষাগুলো স্থগিত করেছি। পরীক্ষার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।
অন্যদিকে এরইমধ্যে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন আগামীকালের (১৭ জুলাই) সকালে অনুষ্ঠিতব্য এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫ এর ভূগোল (তত্ত্বীয়) ২য় পত্র (পত্র কোড-১২৬) এর পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন গোপালগঞ্জ জেলার বাইরে অন্যান্য জেলাসহ দেশের অন্যান্য সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে আগামীকালের পরীক্ষাটি যথারীতি অনুষ্ঠিত হবে। আর গোপালগঞ্জ জেলার পরীক্ষার্থীদের স্থগিত হওয়া এই পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনতে গোপালগঞ্জে জারি করা হয়েছে ২২ ঘণ্টার কারফিউ। আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, আজ রাত ৮টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।
এর আগে, গত ১০ জুলাই বন্যা পরিস্থিতির কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী। বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।