ক্যাটাগরি: রাজনীতি

মন্ত্রী-সচিব সৎ হলে দুর্নীতি থাকবে না: কাদের

কোনো মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব যদি সৎ হন তাহলে ওই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আমরা জনপ্রতিনিধিরা যদি সৎ থাকি তাহলে দুর্নীতিবাজরা পালিয়ে যাবে। আমাদের জনপ্রতিনিধিদের সৎ থাকতে হবে।

বুধবার সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে দলটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা খেলবো। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তেই হবে। শেখ হাসিনার অঙ্গীকার আমরা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করে ছাড়বো।

রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়নে পৌঁছে গেছে। রেমিট্যান্স বেড়ে যাচ্ছে। ইনশাআল্লাহ শেখ হাসিনার চেষ্টায় জিনিসপত্রের দামও কমে আসবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন স্বাধীনতা, তার কন্যা শেখ হাসিনা দেবেন অর্থনৈতিক মুক্তি। সে মুক্তির সংগ্রাম দেশে চলছে। ২০৪১, তারপর ২১০০ সাল, শেখ হাসিনার টার্গেট অনেক লম্বা। তিনি যতদিন বেঁচে আছেন তার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রাম-লড়াই চালিয়ে যাব।

বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, ‘দলটির নেতাদের মনের জোর কমে গেছে। তবে বেড়েছে গলার জোর। একটা কথা আছে, মানুষের শক্তি যত কমে মুখের বিষ তত উগ্র হয়ে যায়।

গাড়ির চালক বেপরোয়া হলে যে অবস্থা হয় রাজনীতিতে বিএনপির এখন সেই অবস্থা। কখন কোথায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে বলা যায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘বিএনপি চলে, নাকি কেউ চালায়? খালেদা জিয়া বিএনপি চালান নাকি লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে চলে?

সড়ক-নদী পথে নয়, আকাশ পথে বিএনপি চলে। মধ্যরাতে ফরমান, নেতাদের দিনের আরাম, রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কখন তারেক রহমানের ডাক আসে, কখন কার চাকরি নট হয়ে যায় কেউ জানে না।

ফখরুল সাহেবও শান্তিতে নেই। বড় বড় নেতারা সবাই আতঙ্কে আছে, তারেক-আতঙ্ক। কখন কার চেয়ার খেয়ে ফেলে সেই ভয়ে সবাই থর থর করে কাঁপছে।

শাসক দলের দ্বিতীয় শীর্ষ এই নেতা জানান, অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী ঢাকার সব উপজেলায় যাবেন। পর্যায়ক্রমে তিনি সারাদেশ সফর করবেন।

নিজের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়ে কাদের বলেন, আমি তো মরেই গিয়েছিলাম, আপনাদের দোয়ায় বেঁচে আছি। দোয়া করবেন যেন মানুষের খেদমত করতে পারি। মন্ত্রী হয়ে যেন ক্ষমতার অপব্যবহার না করি, দুর্নীতি না করি, লুটপাট না করি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজির আহমদ। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার