অফশোর উইন্ড থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকা ও দ্বীপাঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সমুদ্র শক্তি কাজে লাগিয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। এডিবির সহায়তায় ২২টি সম্ভাবনাময় স্থানে অফশোর উইন্ড থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব মহাসাগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ‘ওশান প্রোসপারিটি : ক্যাটালাইজিং ব্ল ইকোনোমি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য সম্মেলনের ব্লু ইকোনোমি ইনফ্রাস্ট্রাকচার শিরোনামের ব্রেক আউট সেশন এ সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ প্রতমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর পিএসসি বিবেচনায় নিয়ে এবং বাংলাদেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে অক্ষুন্ন রেখে বাংলাদেশে অফশোর মডেল পিএসসি-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই অফশোর মডেল পিএসসি’র আওতায় বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড গত ১০ মার্চ ঘোষণা করা হয়েছে। আর বিড দাখিলের সর্বশেষ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর।
নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহকে গবেষণার কাজে উৎসাহিত করা এবং তার প্রয়োগের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্যও মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাছাড়া টাইডাল বেস পাওয়ার প্লান্ট করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় চিন্তা ভাবনা করছে। সমুদ্রে গ্যাস হাইড্রেট খোঁজার বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর রিয়াল এডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. খালেদ ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন ,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম বিষয়ক ইউনিটের সচিব রিয়াল এডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত ) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, এডিবির কোস্টাল, রিভার ও পোর্ট এক্সপার্ট বিষয়ক ইউনিটের মহাপরিচালক জেন হেনরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. এসএম নাফিস শামস ।
এমআই