উচ্চবংশীয় গরু ও দেশের সর্বোচ্চ দামের ছাগলকে জড়িয়ে আলোচনায় আসা সাদিক এগ্রোর সাভারের ফার্মে নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির ১৩টি গরুর সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ এলাকার ফার্মে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় সাদিক এগ্রো ওই ফার্মের একটি ঘরে পরিকল্পিতভাবে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে আলোচিত ছাগলকাণ্ডের ১৫ লাখ টাকা দামের সেই ছাগলকে। এ ছাড়াও ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরসহ প্রায় আড়াইশ গরু রয়েছে। একই সঙ্গে ১২টি উট ও দুটি ঘোড়াসহ কয়েকশ হাঁস-মুরগি ফার্মে দেখা যায়।
দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালে বিদেশ থেকে আসা নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরু কাস্টমস থেকে জব্দ করে সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত রোজার ঈদে গরুগুলোর মাংস বিক্রির জন্য কমিটি করা হয় এবং মাংস বিক্রি করা হয়েছে। তবে আমরা খবর পাই সাদিক এগ্রোতে ব্রাহমা প্রজাতির গরু আছে। এরপর অভিযান চালিয়ে এই ফার্মের একটি শেডে ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরের সন্ধান মিলেছে। এরপর একটি ঘরে কাপড়ে আচ্ছাদনের ভেতরে ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগলটি দেখা গেছে। সাদিক এগ্রোতে কিছু নথি পাওয়া গেছে, যা আমরা জব্দ করেছি। এ ছাড়া নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরুর আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ। তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে দেশে আমেরিকান ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৮টি ব্রাহমা গরু দেশে আনে সাদিক এগ্রো। সেসময় গরু আমদানির বৈধ কাগজ উপস্থাপন করতে না পেরে তিনটি জাল নথি জামা দিয়েছিল সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন। জাল নথি দিয়ে গরু আনার ওই ঘটনায় তখন মামলা হয়। আদালতের রায় আসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে। ফলে ওই ১৭টি ব্রাহমা গরু বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে। এ রকম আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে।
এমআই