ক্যাটাগরি: সারাদেশ

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ভাঙনের মুখে বসতভিটা

রংপুরের কাউনিয়ায় বেড়েই চলেছে তিস্তার পানি। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তা নদীর পানি। এর আগে দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫ সেন্টিমিটার এবং ভোর ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

অন্যদিকে ডালিয়া ব্যারাজের পয়েন্টে বিকেল ৩টায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে)। এর আগে দুপুর ১২টায় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার এবং ভোর ৬টায় ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাউনিয়া উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় ডুবে গেছে বাদামসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। এরইমধ্যে ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে বসতঘর সরিয়ে নিয়েছেন। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের কয়েকশ বসতভিটা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, তিস্তা নদীর বৃদ্ধি ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত বন্যার আভাস পাওয়া যায়নি। তারপরও সরকারিভাবে সবধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে, যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ডালিয়া ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার সকাল থেকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার