আন্তর্জাতিক
বছরে তিন কোটি মানুষকে ওমরার সুযোগ দেবে সৌদি
চলতি বছরের পবিত্র হজের আনুষ্ঠনিকতা ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। দেশে ফিরতে শুরু করেছেন হাজিরা। এরপরই ওমরাহর ই-ভিসা দেওয়া শুরু করছে সৌদি আরব। আগামী ১৯ জুলাই থেকে সৌদি আরবে যেতে পারবেন ওমরাযাত্রীরা।
এখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পবিত্র ওমরা পালনকারীর সংখ্যা তিন গুণ করতে চায় সৌদি আরব। অর্থাৎ বছরে ৩ কোটি উমরা পালনকারীতে উন্নীত করতে চায় দেশটি। সৌদি আরবের ওমরা বিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি আবদুর রহমান বিন ফাহদ স্থানীয় টেলিভিশন আল আখবারিয়াকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুন) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।
আবদুল রহমান বিন ফাহদ বলেন, প্রতি বছরই ওমরা পালনকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এমন বাস্তবতায় উমরাযাত্রীর সংখ্যা চলতি বছর এক কোটি থেকে বাড়িয়ে তিন কোটি করার লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা রয়েছে রিয়াদ সরকারের।
গত বছর দেশটিতে ৪৫ লাখের বেশি মানুষ পবিত্র ওমরা পালন করেছেন। এই তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশিরা। নতুন হিজরি বর্ষ শুরুর প্রথম ছয় মাসে হজের পর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে সৌদি আরবে যান ৪৫ লাখের বেশি মানুষ।
নতুন হিজরি বর্ষ শুরুর পর থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ উমরা ভিসা চালু করা হয়। এর মধ্যে ৪০ লাখের বেশি মানুষ উড়োজাহাজে এবং প্রায় ৫ লাখ বিভিন্ন বর্ডার এলাকা দিয়ে ও ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৫ জন সমুদ্রপথে উমরা পালনের জন্য সৌদি আরবে যান।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি উমরাযাত্রী এসেছেন ইন্দোনেশিয়া থেকে, যা ১০ লাখ ৫ হাজার ৬৫ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটির উমরা পালনকারীর সংখ্যা ৭ লাখ ৯২ হাজার ২০৮ জন। পাশাপাশি তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটি থেকে উমরা যাত্রীর সংখ্যা ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬৫ জন।
চতুর্থ অবস্থানে আছে মিশর। দেশটি থেকে ৩ লাখ ৬ হাজার ৪৮০ জন উমরা পালন করেন। এরপর পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ইরাক, দেশটির উমরা পালনকারীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪০ জন। আর ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ থেকে গত বছর উমরা পালন করেছেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৯২ জন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
রাশিয়াকে সহযোগিতা করায় ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় ২টি শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়ার অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার চাপ বৃদ্ধি ও রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি সীমিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজারবাইজানের সংবাদমাধ্যম নিউজ ডট এজেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ভারতীয় কোম্পানি দুটির নাম হলো- গোটিক শিপিং কোম্পানি ও প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিং। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই দুটি কোম্পানির সঙ্গে মার্কিন নাগরিক ও সংস্থাগুলোকে লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের বিবৃতিতে এই কোম্পানি দুটির সম্পত্তি জব্দ করার কথাও বলা হয়েছে। তবে কোম্পানি দুটি জাহাজগুলোর ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে- মার্কিন প্রশাসন গোটিক শিপিং কোম্পানি এবং প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিংকে রাশিয়ার নোভাটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যবস্থাটি রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি রোধ করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। কারণ রাশিয়ান অর্থনীতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলো কঠোর করা হচ্ছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়াশিংটন ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একই বছরের ডিসেম্বরে এলএনজি সরঞ্জাম উৎপাদনে জড়িত বেশ কয়েকটি রুশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে রপ্তানি চালু রাখার জন্য রাশিয়া যেসব প্রতিষ্ঠানের এলএনজি ট্যাংকার ব্যবহার করছে বলে সন্দেহ করছে ওয়াশিংটন সেগুলোকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোও তাদের বন্দর দিয়ে রুশ এলএনজি পরিবহণে বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে। এই ব্যবস্থা ২০২৫ সালের বসন্তে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্যাকেজে রাশিয়ার ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ এবং ‘মারমানস্ক এলএনজির’—এর মতো রুশ এলএনজি প্রকল্পগুলো প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ, পণ্য সরবরাহ এবং পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ভারতীয় শিপিং কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করার ফলে তাদের কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত হতে পারে। বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিবেচনায় নিলে এটি নয়াদিল্লির জন্য নেতিবাচক হয়ে দেখা দিতে পারে।
নয়াদিল্লি বহু বছর ধরে মস্কোর সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতা বজায় রেখেছে, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে। মার্কিন বিধিনিষেধ রাশিয়ান জ্বালানি পণ্য সরবরাহের জন্য লজিস্টিক চেইনে জড়িত ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে বিপদে ফেলতে পারে এ নিষেধাজ্ঞা; যা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের গতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ
কারাগারে বন্দী থাকা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানের রাজধানীতে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ইসলামাবাদে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে পিটিআইয়ের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে পুলিশ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনের পর এবারই প্রথম বড় কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন পিটিআই নেতারা। খবর আল জাজিরার
গত বছরের আগস্ট মাস থেকে কারাগারে ইমরান। তার মুক্তির দাবিতে সমর্থন তৈরির জন্য দলের পক্ষ থেকে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। গত জুলাই মাসে ইদ্দত মামলায় (ইসলামি বিধিবহির্ভূত নিকাহ) দেশটির একটি জেলা ও দায়রা আদালত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর তাদের মুক্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। পরে ইমরানকে তোশাখানা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। আগের দুটি তোশাখানা মামলায় তার সাজা ইতিমধ্যে স্থগিত করা হয়েছিল, যখন তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে সাইফার মামলায় খালাস পেয়েছিলেন।
এর আগে কয়েক মাস ধরে পিটিআই রাজধানীতে জনসভার অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সমাবেশে পিটিআই নেতা হাম্মাদ আজহার বলেন, ‘পিটিআই নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা আজ জড়ো হয়েছেন দেশে আইনের শাসন ও সংবিধানের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য।’ তিনি বলেন, কোনো বাধা তাদের দমাতে পারবে না। আমরা ইমরান খানের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করব।’
টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সমাবেশের শেষের দিকে পুলিশের সঙ্গে পিটিআইয়ের কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, সমাবেশ শেষ করতে পিটিআইকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দলটি আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া সেই সময়ের মধ্যে সমাবেশ শেষ করেনি। তাই পুলিশ পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের সমাবেশস্থল থেকে হটিয়ে দেয়। এতে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে বাধ্য হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
রাশিয়ার বাজেট ঘাটতি ৩৬০ কোটি ডলার
গত আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) রাশিয়ায় বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ১০০ কোটি রুবল বা ৩৬০ কোটি ডলার। এ সময় ২৫ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার বাজেটের বিপরীতে দেশটিতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার ৯১২ কোটি ডলার।
তুর্কির সংবাদ এজেন্সি আনাদোলুর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সময়ে জ্বালানি তেল ও গ্যাসবহির্ভূত রফতানি থেকে রাশিয়া আয় করেছে ১৭ হাজার ১৬০ কোটি ডলার। এছাড়া জ্বালানি তেল ও গ্যাস থেকে আয় হয়েছে ৮ হাজার ৩৭৫ কোটি ডলার। এদিকে ২০২৩ সালে রাশিয়ায় মোট বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৫৯৪ কোটি ডলার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অভিবাসীদের সুখবর দিলো স্পেন
কাজের আওতায় অনথিভুক্ত অভিবাসীদের সুসংবাদ দিয়েছে স্পেন। দেশটি এসব অভিবাসীদের নিয়মিত হওয়ার শর্তগুলো কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) অভিবাসনবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইনফোমাইগ্রেন্টসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশটির অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, ‘আররাইগো সোসিওলাবোরাল’ নামের নতুন রেসিডেন্স পারমিটের আওতায় তারা এ সুবিধা পাবেন।
স্পেনের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট সরকার জানিয়েছে, অনিয়মিত অভিবাসীদের জন্য শিগগিরই নতুন একটি রেসিডেন্স পারমিট চালু করা হবে।
‘আররাইগো সোসিওলাবোরাল’ নামের নতুন এ রেসিডেন্স পারমিটের জন্য কতিপয় শর্ত পূরণ করতে হবে। এগুলো হলো :
১. আবেদনকারীকে অবশ্যই স্পেনের অনিয়মিত অভিবাসী হতে হবে। আগে কোনো ক্যাটাগরিতে নিয়মিত হলে তিনি এ সুবিধা পাবেন না।
২. আবেদনকারীকে দুই বছর ধরে স্পেনে বসবাসের প্রমাণ দিতে হবে। স্পেন ত্যাগ বা ডিপোর্ট নোটিশ প্রাপ্তরা এ সুবিধা পাবেন না।
৩. আবেদনকারীকে একজন নিয়োগকর্তা বা একটি কোম্পানি স্বাক্ষরিত কাজের চুক্তি উপস্থাপন করতে হবে। এতে তাকে স্পেনের ন্যূনতম কাঠামো অনুসারে বেতন পেতে হবে। এমনকি চুক্তির মেয়াদ তিন মাস হতে হবে।
৪. খণ্ডকালীন কাজ অথবা একাধিক নিয়োগকর্তার অধীনে কাজ করলে সংশ্লিষ্ট কাজের চুক্তিপত্র জমা দিতে হবে। এসব চুক্তি মিলিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ২০ কর্মঘণ্টার কাজ থাকতে হবে। আগের আইনে এটি ৩০ ঘণ্টা ছিল। নতুন আইনে ১০ ঘণ্টা কমানো হয়েছে।
৫. গত পাঁচ বছর স্পেন বা অন্য দেশে অবস্থান করলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে অপরাধে দণ্ডিত বা সাজাপ্রাপ্ত হলে তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
নতুন এ রেসিডেন্স পারমিট মূলত ২০২২ সালের আগস্ট মাস থেকে চলা কাঠামোর নতুন রূপ। ওই আইনে শ্রমিক সংকটে থাকা খাতের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এক বছর মেয়াদি রেসিডেন্স পারমিট পেতেন। তখন পর্যটন, পরিবহন, কৃষি এবং নির্মাণ খাত সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে প্রশিক্ষণের শর্ত ছিল।
দেশটির ইন্টিগ্রেশন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের আইনানুসারে ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত ২৩ হাজার ৯৭ জন অভিবাসী নিয়মিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র এক হাজার ৩৪৭ জন প্রশিক্ষণ শেষে কাজের চুক্তি পেয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দাম বেড়েছে স্বর্ণের, কেনা বন্ধ রেখেছে চীন
চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত টানা ৪র্থ মাসের মতো স্বর্ণ কেনা বন্ধ রেখেছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এ মাসে দেশটির সোনার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৮ মিলিয়ন ফাইন ট্রয় আউন্স। এর মূল্য জুনের ১৭৬ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮২ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে।
চলতি বছরে সোনার দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর কারণ হলো আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতায় সেফ হ্যাভেনে চাহিদা বৃদ্ধি। তাছাড়া বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রচুর সোনা কিনেছে। চলতি বছর সোনার দাম বেড়েছে ২১ শতাংশ। যা এখন ২০ আগস্টের রেকর্ড মূল্যের কাছাকাছি রয়েছে।
তবে আগস্ট পর্যন্ত টানা চার মাস কেনা বন্ধের আগে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক টানা ১৮ মাস সোনা কিনেছে। ২০২৩ সালে দেশটি সবচেয়ে বেশি সোনা কেনে।
তবে উচ্চ মূল্যের মধ্যেও ফের কিছু পয়েন্টেরভিত্তিতে সোনো কেনা শুরু করতে চায় চীন। মূলত চীনের উদ্দেশ্য মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো।
কাফি