সুস্থতা মহান আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে বান্দার জন্য অশেষ নেয়ামত। বিভিন্ন কারণে মানুষকে নানা সময়ে রোগে-শোকে ধরে।
রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সেবা করার বহু পুরস্কার হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তা থেকে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো-
আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন- যে রোগীর খোঁজ-খবর নিল সে আল্লাহর রহমতে ডুবে গেল আর সে যখন বসল তখন সে তার মধ্যে স্থির হয়ে গেল। (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৫২২)
জান্নাতের ছায়া লাভ
সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন কোনো মুসলিম তার (অসুস্থ) মুসলিম ভাইয়ের সেবায় নিয়োজিত হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত জান্নাতের ফল বাগানে (তার ছায়ায়) অবস্থান করতে থাকে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৬৮)
ফেরেশতা কর্তৃক কল্যাণের দোয়া
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যায় অথবা নিজের ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়- একজন ঘোষক (ফেরেশতা) তাকে ডেকে বলতে থাকে, কল্যাণময় তোমার জীবন, কল্যাণময় তোমার এই পথ চলাও। তুমি তো জান্নাতের মধ্যে একটি বাসস্থান নির্দিষ্ট করে নিলে। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২০০৮)
আল্লাহর রহমতে অবগাহন
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেল, সে আল্লাহর রহমতে প্রবেশ করল- যতক্ষণ না সে বসে। যখন সে বসল তাতে সে ডুবে গেল। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৪২৬০)
জান্নাতে ফলের বাগান
আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, কোনো মুসলমান যদি অন্য কোনো মুসলিম রোগীকে সকালে দেখতে যায় তাহলে ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে। সে যদি সন্ধ্যায় তাকে দেখতে যায় তবে ৭০ হাজার ফেরেশতা ভোর পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে এবং জান্নাতে তার জন্য একটি ফলের বাগান তৈরি হয়। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৯৬৯)
আল্লাহ কর্তৃক দায়িত্ব গ্রহণ
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রোগীর দেখাশোনা করল, সে তার জামিন (দায়িত্ব গ্রহণকারী) হলো। (মুহাজ্জাবুস-সুনান ফি ইখতিসারিস-সুনানিল কাবির, হাদিস : ১৪৪২৫)
জান্নাতের সুসংবাদ
আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি দিনে পাঁচটি কাজ করবে, সে জান্নাতিদের অন্তর্ভুক্ত হবে : যে রোগীর শুশ্রূষা করে, জানাজায় অংশগ্রহণ করে, এক দিন রোজা রাখে, জুমার নামাজে অংশ নেয় এবং দাস আজাদ করে। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ২৭৭১)