গতকাল টানবাজারে সুতার আড়তগুলো ঘুরে ১০ কাউন্টের প্রতি পাউন্ড সুতা মানভেদে ৩৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। ১০ দিন আগেও এ মানের সুতা পাউন্ডপ্রতি ৩৩-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ, ১০ কাউন্টের সুতার দাম পাউন্ডে সর্বোচ্চ ৫ টাকা বেড়েছে। একইভাবে ২০ কাউন্টের প্রতি পাউন্ড সুতা ৫৫-৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। ১০ দিনের ব্যবধানে এ মানের সুতার দাম পাউন্ডে বেড়েছে সর্বোচ্চ ৫ টাকা।
গতকাল টানবাজারে ৩০ কাউন্টের প্রতি পাউন্ড সুতা ৯৭-১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। ১০ দিন আগেও এ মানের সুতা পাউন্ডপ্রতি ৯৪-১০২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে, ১০ দিনের ব্যবধানে টানবাজারে ৩০ কাউন্টের প্রতি পাউন্ড সুতার দাম সর্বোচ্চ ৮ টাকা বেড়েছে। এদিন ৪০ কাউন্টের সুতা পাউন্ডভেদে ১০৮-১১৬ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। ১০ দিনের ব্যবধানে এ মানের সুতার দাম সর্বোচ্চ ৪ টাকা বেড়ে পাউন্ডপ্রতি ১১০-১২০ টাকায় উন্নীত হয়েছে।
এদিকে গতকাল টানবাজারে ৬০ কাউন্টের প্রতি পাউন্ড সুতা ১৫৫-১৭০ টাকায় বিক্রি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে এ কাউন্টের সুতার দাম পাউন্ডে ৫ ডলার বেড়েছে। আর টানবাজারে ৮০ কাউন্টের প্রতি পাউন্ড সুতার দাম সর্বোচ্চ ৪ টাকা বেড়ে পাইন্ডপ্রতি ১৯০-২৩৮ টাকায় বিক্রি হতে শুরু করেছে। ১০ দিন আগেও এ মানের সুতা পাউন্ডপ্রতি ১৮৬-২৩৩ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইয়ান মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যে টানবাজারে সুতার বেচাকেনা চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তির দিকে রয়েছে তুলার দাম। করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে ছয়-সাত মাস সুতার বাজারে স্থবিরতা বজায় ছিল। এখন দেশের গার্মেন্টসগুলো বাড়তি অর্ডার পাওয়ায় বাড়তে শুরু করেছে সুতার চাহিদা ও বেচাকেনা। বাড়তে শুরু করেছে দাম। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ৩০, ৪০, ৬০ ও ৮০ কাউন্টের সুতার দাম।
করোনাকালীন লোকসান নিয়ে কথা হয় টানবাজারের মুন্না ইয়ার্ন ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মুন্নার। তিনি বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর টানা সরকারি ছুটিতে সুতা বেচাকেনা একেবারে স্থবির হয়ে আসে। ওই সময় বেশির ভাগ ব্যবসায়ীকে লোকসানে পণ্য বিক্রি করতে হয়। তবে ধীরে হলেও পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। গার্মেন্টসগুলোয় কাজের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান বেশি বেশি সুতা কিনছে। টানবাজারে সুতার বেচাকেনায় গতি ফিরেছে। এ পরিস্থিতিতে সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় করোনাকালীন লোকসান পুষিয়ে নেয়ার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
অর্থসংবাদ/এসএ