ক্যাটাগরি: জাতীয়

মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগে রোগীর মৃত্যু, দুই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন স্থগিত

চিকিৎসায় অবহেলা ও মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজধানীর বসুন্ধরার আকবর হেলথ কেয়ারের অধ্যাপক কর্ণেল (অবসরপ্রাপ্ত) ডা. মো. নুরুল আজিম ও ডা. তানজিমা তাজরিনের রেজিস্ট্রেশন যথাক্রমে ৫ বছর ও এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. লিয়াকত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘কর্ণেল অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল আজিম (অবসরপ্রাপ্ত), বাড়ি নং: ১৭০, রোড নং: ০৬, ব্লক: এ, বসুন্ধরা আ/এ, ঢাকা (আকবর হেলথ কেয়ার লিমিডেট, বাড়ি নং: ৫০, রোড নং: ২/এ, ব্লক: ডি, বসুন্ধরা আ/এ, ঢাকা) এর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী আহমেদ রশিদ ও শর্মিষ্ঠা আহমেদ, ফ্ল্যাট: ৬/এ, বাড়ি নং ৬৯৮, রোড নং: ১০/এ, মিরপুর ডিওএইচএস, মিরপুর, ঢাকা তাদের একমাত্র মেয়ে শ্রেয়শী আহমেদ ঐশী (বয়স ১৭) এর ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যুজনিত কারণ উল্লেখ করে ৩ নভেম্বর ২০২১ তারিখে বিএমডিসিতে অভিযোগ দাখিল করেন।’

‘উল্লেখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউন্সিল অভিযোগকারী এবং চিকিৎসক উভয়ের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। পরবর্তীতে কাউন্সিল কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, তিনি একজন অভিজ্ঞ ও সিনিয়র বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অবহেলা করেছেন। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ প্রয়োগের ফলে রোগীর মৃত্যু হয়।’

‘ডা. তানজিয়া তাজরিন, বাড়ি নং: ৬০, রোড নং: ০৮, ব্লক: সি, নিকেতন, গুলশান, ঢাকা, মূলত ডা. নুরুল আজিমের তত্ত্বাবধানে কাউন্সিলিংয়ের কাজ করতেন। কাউন্সিলিংয়ের কাজে অদক্ষতা, অপেশাদারি আচরণ ও পেশাগত স্বীকৃত কাঠামো মেনে চলার অসামর্থ্যতা প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়াও ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও তাঁর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞানেও তার উল্লেখযোগ্য ঘাটতি প্রমাণিত হয়েছে।’

‘এমতাবস্থায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ (৬১ নং আইন) এর ২৩ (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বিএমডিসি থেকে ডা. নুরুল আজিমের রেজিস্ট্রেশন (এ-৫৩১৯ ডেট অফ রেজিস্ট্রেশন: 03-05-1976) পাঁচ বছরের জন্য এবং ডা. তানজিমা তাজরিনের রেজিস্ট্রেশন (A-৫৯৮৭৯ ডি ডেট অফ রেজিস্ট্রেশন: 26-11-2012) এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলো, যা ২৮ জুন ২০২৪ তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’

‘উল্লেখিত সময়ে বিএমডিসি আইন, ২০১০ (৬১ নং আইন) এর ধারা ২২ (১) অনুযায়ী তাদের রেজিস্ট্রেশন স্থগিতকালীন সময়ে তাঁরা চিকিৎসক হিসেব কোথাও কোন প্রকার চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারবেন না। এমনকি উক্ত সময়ে তারা নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন না’, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
শেয়ার