গ্রীষ্মজুড়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি কমাতে পারে চীন। দেশটি মজুদ সক্ষমতা প্রায় পূর্ণ হওয়ায় এবং স্পট মার্কেটে দাম বাড়ার কারণে সামনের মাসগুলোয় এলএনজি আমদানি কমাবে। এর আগে স্পট মার্কেটে পণ্যটির কম দাম ও সরবরাহ তুলনামূলক বেশি হওয়ায় চলতি বছরের শুরুর দিকে এলএনজি আমদানি ব্যাপক হারে বাড়িয়েছিল চীন। খবর রয়টার্স।
চীন আমদানি কমালে ইউরোপের দেশগুলোয় এলএনজি সরবরাহ আরো বাড়বে। একই সঙ্গে এতে ইউরোপ ও চীন ছাড়া এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মজুদও বাড়বে।
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সমুদ্র ও পাইপলাইন দিয়ে চীন রেকর্ড ৫ কোটি ৫০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছে। এর আগে ২০২১ সালের একই সময়ে দেশটির আমদানির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫০ লাখ টন। এছাড়া চীন গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৪ কোটি ৭০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছিল। ২০২২ সালের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ।
চীনে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে এলএনজির অভ্যন্তরীণ উৎপাদনও বেড়েছে। এ সময় দেশটি রেকর্ড ৭ কোটি ৬০ লাখ টন এলএনজি উৎপাদন করে, গত বছর যা ছিল ৭ কোটি ২০ লাখ টন। ২০২২ সালে চীন ৬ কোটি ৮০ লাখ টন এবং ২০২১ সালে ৬ কোটি ৪০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছিল।
সম্প্রতি এলএনজির ওপর আমদানিনির্ভরতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন। তাই অভ্যন্তরীণ গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলন বাড়ানোয় মনোযোগ দিয়েছে দেশটি।
অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি-মে মাস পর্যন্ত চীনে অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত ও আমদানীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রেকর্ড ১৩ কোটি টনে উন্নীত হয়েছে। গত বছর এ পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৮০ লাখ টন এবং ২০২১ সালে ১১ কোটি ৪০ লাখ টন।
এদিকে এশিয়ার দেশগুলোয় জুনে এলএনজির আমদানি গত মাসের তুলনায় কিছুটা কমার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান কেপলার সংকলিত ডাটা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কেপলারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুনে এশিয়ার দেশগুলোয় এলএনজি আমদানির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে মোট ২ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার টন, আগের মাসে যা ছিল ২ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার টন।
এর মধ্যে চীন জুনে ৬১ লাখ ৭০ হাজার টন এলএনজি আমদানি করতে পারে, আগের মাসে যা ছিল ৬১ লাখ ৯০ হাজার টন। আর গত বছরের জুনে চীন মোট ৬১ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছিল।
কাফি