টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসরে সুপার এইটে উঠেছিল বাংলাদেশ। এমনকি নাজমুল হোসেন শান্ত’র দলের সামনে সেমিফাইনালে ওঠারও সুযোগ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সেই সুযোগ হেলায় হারিয়েছে। গত মঙ্গলবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ রানের হার দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়েছে শান্ত-সাকিবদের।
বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়েছিল আগেই, ফলে বাংলাদেশ দলের এবার দেশে ফেরার পালা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল ২৮ জুন (শুক্রবার) সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখবেন ক্রিকেটাররা।
দেশে ফিরে কিছুদিন বিশ্রামেই কাটানোর কথা রয়েছে ক্রিকেটারদের। এরপর যোগ দেবেন বাংলাদেশ টাইগার্সের চলমান ক্যাম্পে। যেখানে আগে থেকেই মুশফিকুর রহিম, এনামুল হক বিজয়সহ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ক্যাম্প করছেন। আরেকদিকে, বয়সভিত্তিক দল পেরিয়ে আসা ক্রিকেটারদের নিয়ে চলছে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের ক্যাম্প।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে চলমান বিশ্বকাপ শুরুর আগে বাংলাদেশ নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগমুহূর্তে আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের পর ব্যাকফুটে থেকেই আসর শুরু করেছিল তারা। পরবর্তীতে গ্রুপপর্বের চার ম্যাচের তিনটিতে জিতে সুপার এইটে খেলবে বাংলাদেশ- এমন আশা হয়তো করেননি টাইগারদের অন্ধ সমর্থকও। যুক্তরাষ্ট্রে মিরপুরের মতো পিচে বোলারদের কল্যাণে সেটিই হয়েছে। তিন জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো সুপার এইট নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
সুপার এইটে টানা দুই ম্যাচে বাজেভাবে হারের পর টাইগারদের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ জমিয়ে দেয় আফগানরা। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে সেমিতে খেলার সুবর্ণ সুযোগ এসে যায় বাংলাদেশের সামনেও। তবে সুবর্ণ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশ্য শেষ চার নিশ্চিতের লক্ষ্যে শুরুতে ঠিকই আশা দেখিয়েছিলেন বোলাররা। মাত্র ১১৫ রানে রশিদ খানদের আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিতে যেতে আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারের মধ্যে তাড়া করতে হতো নাজমুল হোসেন শান্তদের। সেটি তো দূরে থাক, উল্টো তারা বিশ্বকাপ শেষ করে ৮ রানের হার দিয়ে।