২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামের মাঠে চিলির বিপক্ষে টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল আর্জেন্টিনার। ওই ম্যাচটির পর হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দেন লিওনেল মেসি। যদিও পরবর্তীতে অবসর ভেঙে ফিরে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ ট্রফিটি নিজের ঘরে তুলেন তিনি। তারপরও এই স্টেডিয়ামটি যেন আর্জেন্টাইনদের কাছে দুঃস্বপ্নের। অবশেষে এবার সেই স্টেডিয়ামেই চিলিয়ে হারিয়ে পুরনো প্রতিশোধ নিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। একইসঙ্গে নিশ্চিত করেছে নকআউট পর্ব।
বুধবার (২৬ জুন) চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমে ১-০ গোলের জয় পায় আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন লাউতারো মার্টিনেজ। যদিও খেলার শুরুতে বল দখলে ছিল আর্জেন্টিনার। তবু সংঘবদ্ধ আক্রমণ করতে পারেনি দলটি। খেলার ২২ মিনিটে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন হুলিয়ান আলভারেজ। কিন্তু চিলির গোলরক্ষক ব্রাভোকে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি।
ম্যাচের ৩০ মিনিটের সময় আরও একটি সুযোগ পেয়েছিলেন নিকো গঞ্জালেজ। কিন্তু এবার তার দেওয়া হেড ঠেকিয়ে দেন চিলির গোলরক্ষক। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ডি পলের বাড়ানো বলে ডি-বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে মেসির দ্রুতগতির শট একটুর জন্য জালের দেখা পায়নি। পরে বাকি সময়ে আর তেমন কোনো আক্রমণ না হওয়ায় দু’দলকে গোল শূন্যতেই বিরতিতে যেতে হয়।
বিরতি শেষে আবারও আক্রমণ বাড়ায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু কোনোভাবেই গোলের দেখা পাচ্ছিল না দলটি। ম্যাচের ৬১ মিনিটে গোলের আরও একটি সুবর্ণ সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। তবে তা কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। বাঁ-দিক থেকে নিকো গঞ্জালেজের বাঁ-পায়ের জোরালো শট ব্রাভোর হাতস্পর্শ করে গোলপোস্টে লাগে।
খেলার ৭২ মিনিটে চিলি সুযোগ পেলেও তা সফল হতে দেননি আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ম্যাচের ৭৫ মিনিটে। এবারও চিলির সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান এমি।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে মেসির কর্নার থেকে কাঙ্ক্ষিত সেই গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ। তার গোলের সুবাদে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আলবিসেলেস্তারা।
এমআই