পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভুটান পরিবেশ ও জ্বালানি সহযোগিতা জোরদার করবে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের একটি মডেল হিসেবে কাজ করতে পারে। সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের দুদেশের জন্য উজ্জ্বল, সবুজ ভবিষ্যত তৈরি করতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার জন্য অবশ্যই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
পরিবেশমন্ত্রী মঙ্গলবার ভুটানের থিম্পুতে দেশটির জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী গেম শেরিং-এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরী দক্ষিণ এশিয়া কোওপারেটিভ পরিবেশ প্রোগ্রামের বিদায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে ভুটানের জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী গেম শেরিংকে নতুন চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি আগামী জুলাই মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের পরিবেশ মন্ত্রীদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য গেম শেরিংকে আমন্ত্রণ জানান।
মন্ত্রী শেরিং ভুটান সফরের জন্য পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, ভুটান টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বৈঠক আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিবেশ রক্ষা ও জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
বৈঠকটি উভয় দেশের পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, টেকসই জ্বালানি চর্চার উন্নতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনে যৌথ অঙ্গীকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। উভয় মন্ত্রী বন সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন এবং জলবায়ু সহনশীল কৌশল বাস্তবায়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
এর আগে, পরিবেশমন্ত্রী ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য, কর্মসংস্থান ও পর্যটন মন্ত্রী নামগায়েল দর্জির সাথে তার কার্যালয়ে একটি বৈঠক করেন। রয়েল সিভিল সার্ভিস কমিশনার তাশি পেম ও মঙ্গলবার লে মেরিডিয়ান থিম্পুতে পরিবেশমন্ত্রী সাবের চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।