কোলেস্টেরল রক্তে পাওয়া একটি পদার্থ, যা সুস্থ কোষ তৈরির জন্য অত্যাবশ্যক। তবে উচ্চ মাত্রার এলডিএল (লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল, যাকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বলা হয়, এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সুষম খাদ্য কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
খাবারের তালিকায় পরিবর্তন করে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ সহজ করতে পারেন। সকালের নাস্তায় সুস্বাদু স্মুদি আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারে। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কোলেস্টেরলের জন্য সেরা পানীয় কোনটি?
গ্রিন টি এবং জুসের মতো বেশ কিছু পানীয় রয়েছে যা উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মেডিকেল নিউজ টুডে অনুসারে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে আপনার দিন শুরু করার জন্য উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধের স্মুদি একটি পুষ্টিকর পছন্দ হতে পারে। সয়া দুধ এবং ওট মিল্কের মতো উদ্ভিদের দুধ বিশেষভাবে উপকারী।
সয়া দুধের উপকারিতা
সয়া দুধে স্বাভাবিকভাবেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল কম থাকে। এফডিএ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার জন্য খাবারের তালিকায় সয়া পণ্য যোগ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সয়া দুধ প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এটি কোলেস্টেরল-হ্রাসকারী স্মুদি তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন।
ওট মিল্কের উপকারিতা
ওটসে বিটা-গ্লুকান নামে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। ওট মিল্ক পান করলে বা স্মুদিতে ওটস ব্যবহার করলে তা হার্ট ভালো রাখতে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, দেয় যে ওট মিল্ক কঠিন ওটসের তৈরি অন্যান্য খাবারের তুলনায় কোলেস্টেরল কমাতে বেশি কাজ করে।
স্মুদি তৈরি
একটি ব্লেন্ডারে ২৫০ মিলি সয়া মিল্ক বা ওট মিল্কের সঙ্গে তাজা ফল বা সবজি যেমন কলা, আঙ্গুর, আম, তরমুজ, বরই, পালং শাক ইত্যাদি পছন্দমতো মিশিয়ে নিন। মসৃণ এবং ক্রিমি হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। এবার সকালের নাস্তায় এই স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু স্মুদিতে চুমুক দিন। এভাবে নিয়মিত খেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করা নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
কাফি