উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বিপৎসীমার ৫৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে একই সময় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৪৩ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিন সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৩৩ সেমি নিচে রেকর্ড করা হয়। তবে এই পয়েন্টে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুর ১২টা থেকে পানি প্রবাহ কমে বিপৎসীমার ৪৩ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেমি।
শুক্রবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল আনন্দ বাজার ও বাগডোরা এলাকা এবং জেলার আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা গোবর্ধন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশ পরিবার গত ৪ দিন থেকে পানিবন্দি রয়েছেন। পানিতে তলিয়ে গেছে চলাচলের রাস্তা।
সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তী স্কুলের খেলার মাঠ। পানি উঠেছে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক ও মসজিদে। ফলে এদিন পবিত্র জুমার নামাজ মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার এক পাশে আদায় করেছেন মুসল্লিরা।
এমআই