২০২১ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে স্পর্শ করেছিলেন সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড। প্রায় ৩ বছর ধরে চিলির কিংবদন্তি গোলকিপার সার্জিও লিভিংস্টোনের সঙ্গে রেকর্ডটা ভাগাভাগি করে ছিলেন লিওনেল মেসি।
অবশেষে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২১ জুন) সকালে আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে প্রায় ৭১ হাজার দর্শকের সামনে কোপা আমেরিকায় অভিষিক্ত কানাডার বিপক্ষে রেকর্ডটা নিজের করে নেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।
তার রেকর্ড গড়া ম্যাচে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। নিজে একাধিক সুযোগ মিস করলেও, জুলিয়ান আলভারেজ আর লাউতারো মার্তিনেজের গোলে অবদান রাখেন মেসি।
ম্যাচের ৪৯ মিনিটে প্রথম গোল পায় আর্জেন্টিনা। মেসির কাছ থেকে কানাডার বক্সের ভেতরে বল পান মিডফিল্ডার অ্যালেক্সিস ম্যাক–অ্যালিস্টার। তিনি সুবিধাজনক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা আলভারেজকে বল দেন।
মাত্র ১০ গজ দূর থেকে ডান পায়ের শটে আর্জেন্টিনার প্রথম গোলটি করেন ম্যানসিটির এই স্ট্রাইকার। এতে টানা ১৩ ম্যাচ পর জাতীয় দলের জার্সিতে গোল খরা কাটান আলভারেজ।
দ্বিতীয় গোলে সরাসরি অবদান রয়েছে মেসির। ৮৮ মিনিটে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের থ্রু পাস থেকে আর্জেন্টিনাকে দ্বিতীয় গোল উপহার দেন লাউতারো। এর আগে গুয়েতেমালার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন ইন্টার মিলানের অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মেসি বলেছেন, ‘আমরা জানতাম, এটা (কানাডার বিপক্ষে) একটা কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে শারীরিকভাবে তারা বেশ শক্তিশালী। প্রথমার্ধে খুব কম জায়গা ছিল। ভাগ্যক্রমে আমরা দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুত গোলটি পেয়েছিলাম, যদিও পরিস্থিতি বেশ জটিল ছিল।’
আগামী সোমবার (২৪ জুন) নিজের ৩৭তম জন্মদিন পালন করবেন মেসি। এর আগে সঙ্গ করে নিয়ে যাচ্ছেন কোপা আমেরিকার প্রথম ম্যাচের জয়ের স্বস্তি। তবে পরের ম্যাচের পরিকল্পনা এরই মধ্যে ঠিক করে ফেলেছেন তিনি।
মেসি বলেন, ‘আমাদের ধৈর্য আছে বল নিজেদের কাছে রাখার। এক দিক থেকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার। বেশিরভাগ প্রতিপক্ষই আমাদের বিপক্ষে ভিন্নভাবে খেলে। তবে বল আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’
পরের ম্যাচ বুধবার (২৬ জুন), প্রতিপক্ষ চিলি। গত আসরের প্রথম ম্যাচে চিলিয়ানদের বিপক্ষে ড্র করেছিল আর্জেন্টিনা। এ ছাড়া ২০১৫ ও ২০১৬ সালে ফাইনালে চিলির কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হন মেসিরা। এবার গ্রুপ পর্বেই দেখা দুদলের। এ ম্যাচ জিতলে নিশ্চিত হবে আর্জেন্টিনার পরের রাউন্ড।
এমআই