মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে। ফলে এসময় মানুষ অনেক কিছুই ভুলে যায়। যখন এটি গুরুতর আকার ধারণ করে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা সৃষ্টি করে, তখন একে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম বলে। নানা কারণে এই রোগ হতে পারে। যেমন- অ্যালঝেইমার ডিজিজ, থাইরয়েড ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা ইত্যাদি।
গবেষণা বলছে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসও এর জন্য কিছুটা দায়ী। স্মৃতিভ্রম রোধে খাদ্যাভ্যাস বেশ ভালো সুফল আনে। তাই আপনি যদি স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে চান, তবে খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার। বিশেষ করে এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। অল্পবয়সীরাও মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খেতে পারেন এসব খাবার। জেনে নিন স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ডায়েট-
পালং শাক মস্তিষ্কে বয়সের প্রভাব ও স্মৃতিভ্রমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন-ই থাকে। বাদামেও ভিটামিন-ই থাকায় স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। যেমন- কাঠবাদাম ও আখরোট ভিটামিন-ই এর ভাল উৎস।
সামুদ্রিক মাছ বা যে কোনো তৈলাক্ত মাছে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এতে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
ডিমের হলুদ অংশ কোলিন নামক অত্যাবশ্যকীয় উপাদানে ভরপুর। যা কোষে সংকেত পৌঁছাতে সাহায্য করে। আর ‘শর্ট-টার্ম’ মেমোরির সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।
টমেটোতে লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা মস্তিষ্কের কোষের রেডিকল ক্ষয়ের বিরুদ্ধে কাজ করে।
এক মুঠো কুমড়ার বীজ জিংক স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও কুমড়ার বীজ থেকে ভিটামিন-বি ও ট্রিপ্টোফেন মেলে।
ব্রকোলি ভিটামিন-কে তে ভরপুর। এটি গ্লুকোসিনোলেটসের ভাল উৎস। যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে সঠিক কার্যকারিতা পরিচালনা করে এবং স্মৃতি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
চকলেটে প্রায় ৮০ শতাংশ কোকো থাকায় এটা ধমনীর কার্যকারিতা উন্নত করে। মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কফিতে ক্যাফেইন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া ক্যাফেইনের মনোযোগ বৃদ্ধি, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
গ্রিন-টি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এই উপাদানটির উপস্থিতি উদ্বেগ, অতিরিক্ত চিন্তা, ভয় কমাতেও সাহায্য করে।