মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ফল এবং মিষ্টান্ন পাঠান।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনবী রোড়ে অবস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) এই উপহার হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সরওয়ার-ই-আলম সরকার।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন তো করেইনি, বরং নানাভাবে তাদের হয়রানি করেছে এবং অসম্মানিত করেছে। তারা ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে এ দেশের গৌরবময় ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে।
মুক্তিযোদ্ধারা আরও উল্লেখ করেন, জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরিয়ে এনেছেন। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সম্মানের স্থানে আসীন করেছেন।
তারা জানান, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তারা সবচেয়ে সন্তুষ্ট আছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব তার বক্তব্যের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় সবকিছুই পূর্ণ করেছেন। সামনের দিনগুলোতে তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।