এ বছর দেশে তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তিকাল দীর্ঘ হবে বলে আশঙ্কা করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। হয়েছেও তাই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়েছে সারাদেশ। এরপর মে-জুন মাসেও কয়ে দফায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে গেছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জায়গায়। যা অব্যাহত থাকতে পারে এবং কোথাও তা আর তীব্র হতে পারে। তবে আগামী তিন দিন দেশের কিছু কিছু জায়গায় ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে—এমন প্রশ্নের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার কথা জানিয়েছেন।
ঈদের দিন সোমবার (১৭ জুন) তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার কোনো কোনো স্থানে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে। পাশাপাশি দু–এক বিভাগে মেঘলা আকাশ এবং সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
তবে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় তাপমাত্রা খুব বেশি না থাকলেও জনজীবনে অস্বস্তি চরমে উঠতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ঈদের দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতিতে তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। প্রথমত, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে ওই দিন বৃষ্টি হতে পারে। এই তিন বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। এসব এলাকার তাপমাত্রা সহনীয় থাকতে পারে। ঈদের দিন চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।”
বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী বিভাগে ঈদের দিন তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই তিন বিভাগের কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। খুলনা ও বরিশালে তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। কোথাও কোথাও তা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। এ বিভাগের কিছু জায়গায় আকাশ মেঘলা থাকতে পারে।”
খুলনা বিভাগে টানা কয়েক দিন মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল খুলনায় ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বিভাগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১০টি স্টেশনের মধ্যে কুমারখালী ও নড়াইল বাদ দিয়ে বাকিগুলোতে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।
ঈদের দিন ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে বজলুর রশীদ বলেন, “ঢাকার আকাশ ওই দিন মেঘলা থাকতে পারে। আর বিকেলের দিকে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে। তবে বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। ঢাকায় ঈদের দিন বৃষ্টি হলেও তা গরম কমাবে না বলেই মনে হয়।”
তিনি জানান, গতকাল ঢাকায় আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯%। ঈদের দিনেও আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। তাই গরমের অনুভব হবে বেশি।