এবারের ঈদে রাজধানীতে পশু কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। অন্যদিকে পশু কোরবানির ছয় ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ জুন) সারাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে। ঈদের দিনের মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কথা জানিয়েছেন দুই সিটির মেয়ররা।
বর্জ্য অপসারণে দুই সিটির যত উদ্যোগ
কোরবানি হওয়া পশুর রক্ত, বর্জ্য ও আবর্জনা অপসারণে ঈদের দিন ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত থাকবে উত্তর সিটি করপোরেশনে। ডিএনসিসির মেয়র, কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি তদারকি করবেন।
জানা গেছে, ঈদের দিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোরবানির পশুর মালিকদের পলিথিন সরবরাহ করবেন উত্তর সিটির কাউন্সিলররা। পরে বর্জ্যপূর্ণ ওই পলিথিন সংগ্রহ করবেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
বর্জ্য প্যাকেট করতে ৯ লাখ ৪০ হাজার পলিব্যাগ, এক লাখ বায়োডিগ্রেডেবল পলিব্যাগ বিতরণ করা হবে। একই সময় দুই হাজার ৬৮০ বস্তা ব্লিচিং পাউডার (২৫ কেজির বস্তা), ৯০০ ক্যান স্যাভলন (প্রতি ক্যান ৫ লিটার), সাত হাজার টুকরি ও এক হাজার ২৫০ লিটার ফিনাইল ব্যবহার হবে।
ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে আমিনবাজার ল্যান্ডফিল্ডে নেওয়া হবে। ল্যান্ডফিল্ডে বর্জ্য নেওয়ার জন্য ৮৫টি ডাম্প ট্রাক, ২১টি পে-লোডার, ১৮টি পানির গাড়ি, দুটি টায়ার ডোজার, পাঁচটি স্কিড লোডার, ১৪০টি পিকআপ ও ৪৫টি কনটেইনার ক্যারিয়ার ব্যবহার করা হবে।
জানতে চাইলে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। গত বছরের তুলনায় এবছর বর্জ্যের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তাই ঈদের দিন আমিনবাজার ল্যান্ডফিল্ডে যাতায়াতের রাস্তা যানজটমুক্ত রাখার বিষয়ে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে চিঠি দিয়েছি।
অন্যদিকে ঈদের দিন দুপুর ২টা থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সেখানেও কাজ করবেন প্রায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
এবার ডিএসসিসির ওই ৭৫টি ওয়ার্ডে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে তাদের ৯ হাজার ৪৯৭ জন কর্মী কাজ করবেন। এর মধ্যে নিজস্ব জনবল চার হাজার ৯৯৭ জন, প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডারের (পিসিএসপি) চার হাজার ৫০০ জন। সব মিলিয়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৫৬০টি যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত থাকবে।
ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি যেসব জায়গায় পশু কোরবানি করা হবে, সেখানে ৪০ টন ব্লিচিং পাউডার, ২২২ গ্যালন স্যাভলন ছিটানো হবে। এছাড়া বর্জ্যগুলো প্যাকেট করে রাখতে এক লাখ ৪০ হাজার বায়োডিগ্রেডেবল ব্যাগ বিতরণ করা হবে। আশা করছি সবার সহযোগিতায় দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে।