সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছে কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা। রোববার (১৬ জুন) সকাল ৮টায় উপজেলা শহরের ফুটবল মাঠ সংলগ্ন দুলদুল রাইস মিলে এ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকেরা জানায়, সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে রেখে তারা কয়েক বছর ধরে ঈদ জামাতের এ আয়োজন করে আসছেন। এবারও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চোরকোল, শ্যামনগর, যাদবপুর, হরিণাকুন্ডু উপজেলার দখলপুর, নারায়নকান্দি, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়ীয়া, পারফলসী, পায়রাডাঙ্গা, শৈলকুপা উপজেলার ভাটইসহ জেলা শহর থেকে আগত মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। এছাড়াও উপজেলার ভালকী ও নিত্যানন্দপুর স্কুল মাঠে এ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদের নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা বলেন, আমরা জানি চাঁদ উঠার ওপর নির্ভর করেই ঈদ উদযাপন করা হয়। পৃথিবীর আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া সৌদি আরবসহ সব মুসলিম দেশে আজ ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। এ কারণে আমরা জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছি।
ইমাম মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, সহি হাদিসের আলোকে ২১ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হরিণাকুণ্ডুতে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ জামাতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা তিন শতাধিক মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতেন। এখন হরিণাকুণ্ডুর তিনটি স্থানে ঈদের জামাত হওয়ায় উপজেলা মোড়ে মুসল্লির সংখ্যা কমে গেছে।
ঈদ জামাত আয়োজক কমিটির সভাপতি আ ন ম বজলুর রহমান বলেন, ওআইসিসহ সব মুসলিম উম্মা আজকে ঈদের নামাজ আদায় করছেন। সে কারণে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। আমরা রাসূলের সুন্নাহ অনুসরণ করে চলি। রাসূল (সা.) যেভাবে চলতে বলেছেন, আমরা সেইভাবে চলি।
এমআই