শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। আজ শনিবার (১৫ জুন) ১৫ লাখেরও বেশি মানুষের আরাফাতের ময়দানে উপস্থিতির মাধ্যমে হজের চূড়ান্ত পর্যায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে হাজিরা মিনা থেকে আরাফায় উপস্থিত হয়েছেন। হাজিদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির) ধ্বনিতে প্রকম্পিত হচ্ছে আরাফাতের ময়দান।
শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আরাফাত ময়দানের নামিরাহ মসজিদ থেকে হজের খুতবা পাঠ শুরু করেন পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মাহের আল মুয়াইকিলি।
আজ সারাদিন আরাফাতেই অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। সেখানে সারা রাত খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন তারা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত যেকোনো এক মুহূর্ত মুজদালিফায় অবস্থান করতে হয়। ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার কিছু আগে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন হাজিরা। শয়তানের উদ্দেশে পাথর সংগ্রহ করতে হয় মুজদালিফায় অবস্থানের সময়, রাত কিংবা সকালে।
১০ জিলহজ সকালে মুজদালিফা থেকে মিনায় এসে বড় জামরায় সাতটি পাথর নিক্ষেপ করতে হয়। এরপর মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়। কোরবানির পরপরই মাথা মুণ্ডন করার নিয়ম রয়েছে।
হজের সর্বশেষ কার্য কাবাঘর প্রদক্ষিণ, যা ১১ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে সম্পন্ন করতে হয়। ১১ ও ১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরায় সাতটি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হয় প্রতিদিন।
১০-১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় রাতযাপন করতে হয়। কেউ মিনা ত্যাগ করতে চাইলে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগে চলে যেতে হবে। এ সময়ের মধ্যে মিনা ত্যাগ করতে না পারলে ১৩ জিলহজ মিনায় অবস্থান করতে হবে। সেদিন সাতটি করে আরো ২১টি পাথর নিক্ষেপ করতে হবে। দেশে রওনা হওয়ার আগে তাওয়াফ করতে হয়, যাকে বিদায়ী তাওয়াফ বলে।