পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি মাত্র একদিন। বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনে বেড়েই চলেছে ঘরমুখী মানুষের ভিড়। ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ঘরে ফেরাতে নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সবমিলিয়ে ঈদযাত্রার চতুর্থদিনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২টি স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৬৯ ট্রেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ছেড়ে যাবে।
শনিবার (১৫ জুন) কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এবার ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে ১২ জুন থেকে। গত তিন দিনে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যেসব ট্রেন আমরা পরিচালনা করেছি সেসব ট্রেনের যাত্রীরা নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদে এবং ভোগান্তি ছাড়ায় পৌঁছাতে পেরেছেন। আজ সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন ঢাকা ছেড়ে গেছে। সব ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশন ত্যাগ করেছে। যাত্রীরা আমাদের ব্যবস্থাপনায় বেশ খুশি। এবার বিনা টিকিটে ভ্রমণের প্রবণতা একটু কম দেখেছি, যাত্রীরা সচেতন হয়েছেন।
স্টেশন ম্যানেজার বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী, জিআরপি, ডিএমপি, র্যাব এবং দেশের অন্যসব বাহিনী সম্মিলিতভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুন্দর, ভোগান্তিহীন ও নিরাপদ ঈদযাত্রা উপহার দিতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সিডিউল বিপর্যয় হয়নি। রেলওয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের সব পর্যায়ের মনিটরিং টিম কাজ করছে।
টিকিট কালোবাজারি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাহিদার তুলনায় আমাদের ট্রেন সংখ্যা অপ্রতুল। আমরা ৩৩ হাজার ৫০০ আন্তঃনগরের টিকিট বিক্রি করতে পেরেছি, এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের ছিল না। কিন্তু এই ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিটের বিপরীতে চাহিদা ছিল ব্যাপক। প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে চেয়েছিল এই আন্তঃনগর ট্রেনে। বেশিরভাগ যাত্রী হয়তো অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি। এখন এসব টিকিটের যে ব্যাপক চাহিদা, এটাকে পুঁজি করে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র টিকিট প্রিন্ট করে, এডিট করে বিভিন্নভাবে অনেককে প্রতারিত করেছে। তাদেরকে ধরেছে র্যাব।
মাসুদ সারওয়ার আরও বলেন, আগামীকাল আমাদের ঈদযাত্রা শেষ হবে। শেষদিন পর্যন্ত যাতে সবকিছু স্বাভাবিক থাকে এবং সুন্দরভাবে যাত্রীরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে- সে লক্ষ্যে সব কার্যক্রম সম্পন্ন রয়েছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় ও সহযোগিতায় আমরা সুন্দর একটি ঈদযাত্রা উপহার দিতে পেরেছি।
কাফি