ক্যাটাগরি: খেলাধুলা

ইউরোর পর্দা উঠছে রাতে, মুখোমুখি জার্মানি-স্কটল্যান্ড

সবশেষ ২০২২ সালে মরুর বুকে উত্তাপ ছড়িয়েছিল ফুটবল। কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপে ৩২ দেশের লড়াইয়ে অনেক দেশই আলাদা করে নজর কেড়েছে। বিশ্বকাপের পর তর্ক সাপেক্ষে ফুটবলের যে প্রতিযোগিতা বাকিদের থেকে এগিয়ে রয়েছে, সেটাই হলো ইউরো কাপ। যা আজ (শুক্রবার) রাতেই পর্দা উঠছে। ফুটবল প্রেমীদের রাত জাগার পালা আবারও শুরু। একটা শিরোপার জন্য ১০টি ভেন্যুতে লড়বে ২৪টি দেশ। ১৭তম আসরের জন্য জার্মানিতে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।

শুক্রবার (১৪ জুন) রাত ১টায় ইউরোর উদ্বোধনী ম্যাচে মিউনিখে স্বাগতিকরা খেলবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করা জার্মানি এ বার ইউরো কাপের আয়োজক। ১৮ বছর আগের সেই অভিজ্ঞতাই ফিরিয়ে আনতে চাইছে তারা। তবে এ বার ইউরোপের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আলাদা। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর প্রথম বার ইউরো হচ্ছে।

জার্মানি ইউক্রেন দলকে ভাল ভাবেই স্বাগত জানিয়েছে। যুদ্ধের পর থেকে তারা জার্মানিতেই নিজেদের ‘হোম’ ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু থাকছে না রাশিয়া। উয়েফা তাদের বাদ দিয়েছে। অন্যদিকে ইজরায়েলের হামলা এবং ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে এমনিতেই গোটা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পরিস্থিতি টালমাটাল। তার মধ্যেই আয়োজিত হচ্ছে ইউরো কাপ।

এবারের টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়। এই ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড। আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত গ্রুপ পর্বে প্রতিদিন দুই থেকে চারটি ম্যাচ হবে। শীর্ষ ষোলোর ম্যাচগুলো শুরু হবে আগামী ২৯ জুন থেকে। ফাইনাল হবে ১৪ জুন বার্লিনে।

ইউরোর জন্য প্রস্তুত ১০ শহরের ১০ স্টেডিয়াম। ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে- অলিম্পিয়া স্টেডিয়াম, কোহলাইন স্টেডিয়াম, ডর্টমুন্ড, ডুসেলডর্ফ অ্যারেনা, ফ্র্যাঙ্কফুর্ট অ্যারেনা, গেলজেনকির্চেন অ্যারেনা, ভক্সপার্কস্টেডিয়ন হামবুর্গ, লাইপজিগ স্টেডিয়াম, মিউনিখ ও স্টুটগার্টে।

২০১৪ রাশিয়া বিশ্বকাপ জয়ের পর এখন পর্যন্ত বড় কোনো শিরোপার দেখা পায়নি জার্মানি। এবার সে আক্ষেপ ঘোচাতে চায় তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।

এদিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল, কিলিয়ান এমবাপ্পের ফ্রান্স, হ্যারি কেনের ইংল্যান্ড বা তিন বারের বিজয়ী স্পেন, ইউরো কাপে নজর কাড়ার মতো দেশের অভাব নেই। কিন্তু এই প্রতিযোগিতা বরাবরই চমকে দিতে অভ্যস্ত। ২০০৪ সালে সবাইকে চমকে দিয়ে ট্রফি জিতেছিল গ্রিস। যুগোশ্লাভিয়া নির্বাসিত হওয়ার পর শেষ মুহূর্তে সুযোগ পাওয়া ডেনমার্ক অবাক করেছিল ১৯৯২ সালের ইউরো জিতে। এ বারও যে কোনও দেশ চমকে দিতে পারে।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার