প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সরাসরি রপ্তানি খাতের মতো প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদের জন্যও নগদ প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়ক পণ্য সরবরাহকারী কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএপিএমইএর সাবেক সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরী ও আবদুল কাদের খান, বর্তমান পর্ষদের সহসভাপতি মোজাহারুল হক, পরিচালক জামিল আহমেদ, কাজী ফাহাদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএপিএমইএর নেতারা বলেন, তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকেরা প্রণোদনা পেলেও এ অ্যাক্সেসরিজ খাতের রপ্তানিকারকেরা কখনোই তা পাননি। তাই আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার বলেন, এ খাতের সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানি প্রায় ৮শ’ কোটি ডলার। এর মধ্যে সরাসরি রপ্তানি হয় ১৫০ কোটি ডলারের মতো। এ ক্ষেত্রে নগদ সহায়তার দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, বৈধ আয়ে করহার বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করলে অপ্রদর্শিত অর্থ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এটা অযৌক্তিক। বাজেটে প্রি-ফেব্রিকেটেড ভবন নির্মাণের উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ, জ্বালানি সাশ্রয়ী বাতির ভ্যাট ৫ থেকে ১৫ শতাংশ, নতুন বন্ড লাইসেন্সের ফি ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা এবং বন্ড লাইসেন্সের বার্ষিক নবায়ন ফি ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি বলেন, শিল্প অঞ্চলের বাইরে গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ব্যাংক ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব পদক্ষেপের কারণে উৎপাদন খরচ বাড়বে, শিল্প প্রতিষ্ঠান ভয়াবহ সংকটে পড়বে, কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে, শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বে।
এমআই