ইন্টারনেট অর্থনীতি ১০৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে

ইন্টারনেট অর্থনীতি ১০৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে
২০২০ সাল শেষে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি ১০ হাজার ৫০০ কোটি ডলার (১০৫ বিলিয়ন) ছাড়িয়ে যাবে। বৈশ্বিক কভিড-১৯ মহামারীর নতুন বাস্তবতায় ঘরবন্দি মানুষের মধ্যে রিমোট ওয়ার্কের পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় এবং বিনোদনের জন্য ইন্টারনেট নির্ভরতা উল্লেখযোগ্য বেড়েছে, যা অঞ্চলটির ইন্টারনেট অর্থনীতির আকার প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক শিল্প প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। খবর রয়টার্স।

শিল্প প্রতিবেদনটিতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর এবং ফিলিপাইনের তথ্য উঠে এসেছে। যেখানে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দ্রুত বাড়ছে। শুধু চলতি বছরেই অঞ্চলটিতে নতুন চার কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যুক্ত হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটিতে পৌঁছেছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এখন অঞ্চলটির ৭০ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সেবার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

বৈশ্বিক সার্চ জায়ান্ট গুগল, সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারী টেমাসেক হোল্ডিংস এবং বাণিজ্য পরামর্শক বেইন অ্যান্ড কোর প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট কভিড-১৯ মহামারী স্থায়ী এবং ব্যাপক পরিসরে ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণের প্রবণতা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতি গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ৫ শতাংশ বিস্তৃত হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ ও অঞ্চল শুরুতে ভাইরাস প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়তে ব্যর্থ হয়। শুরুতে গোটা বিশ্বই একেবারে নতুন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়।

এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা মেনে অনেক দেশ লকডাউন ঘোষণা করে। এর ফলে শত শত কোটি মানুষ কার্যত ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল। মহামারীর ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক বহুজাতিক ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠান রিমোট ওয়ার্ক বা বাসায় থেকে অফিসের কাজ করার সুবিধা চালু করে। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ে অনলাইনে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। কর্মীদের বাসায় থেকে কাজের সুবিধা চালু করায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোও প্রযুক্তিপণ্য ও ইন্টারনেটের সহায়তা নিতে বাধ্য হয়, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্টারনেট অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি করেছে।

কভিড-১৯ মহামারী ঠেকাতে ঘোষিত লকডাউনে লাভবান হয়েছে অনলাইন খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ সংক্রমণের ভয়ে মানুষের মধ্যে বাসা থেকে পণ্য ক্রয়ের একটা প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে খাবার থেকে শুরু করে ফ্যাশন পণ্যও এখন অনলাইনে ক্রয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। চলতি বছর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ই-কমার্স বাজার ৬৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, পর্যটন বাজার ৫৮ শতাংশ সংকুচিত হয়ে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। কভিড-১৯ মহামারীর মুখে পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিঙ্গাপুরের ইন্টারনেট অর্থনীতি ২৪ শতাংশ সংকুচিত হয়ে ৯০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

অর্থসংবাদ/এসআর

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে ১৪ অ্যাপ
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হলে যা করবেন
গোপন নয় ‘ইনকগনিটো’ মুড, গুগলকে ৫৪ হাজার কোটির জরিমানা
বৈদ্যুতিক গাড়ি আনছে শাওমি
গুগল ক্রোম বাংলায় ব্যবহার করবেন যেভাবে
ডিলিট হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন যেভাবে
ওয়েবসাইটে জি-মেইল অ্যাড্রেস আনসাবস্ক্রাইব করবেন যেভাবে
আইফোন চুরি হলেও আইডির সুরক্ষা দেবে নতুন ফিচার
দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
আইফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়ানোর উপায়