কোরবানির পশুর কৃত্রিম সংকট ঠেকানোর পাশাপাশি কেনাবেচায় ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত এবং পশুবাহী যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে সতর্ক নজরদারি করছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ কার্যক্রম শুরু করেন তারা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘ঈদ-উল-আজহার প্রস্তুতিমূলক সভায়’ পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন মার্কেটে মনিটরিং জোরদার করাসহ কোরবানির পশুর সহজলভ্যতা, পরিবহন, হাট ও অনলাইন মার্কেট ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার (জুন ১২) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর যথেষ্ট যোগান রয়েছে। উদ্বৃত্ত পরিমাণ কোরবানির পশুর সরবরাহ থাকায় কোনো সংকট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই। বাজার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে পরিচালিত হলে যৌক্তিক মূল্যে কোরবানির পশুর ক্রয়-বিক্রয় হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। কোনরূপ কৃত্রিম সংকট যেন তৈরি না হতে পারে সেলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এমআই