২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত ১৫ আসামি পলাতক রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (জুন ১২) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তরে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দীন, মো. হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করা আছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, রায় ঘোষণার পূর্বে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫২ জন আসামির মধ্যে তিন জন আসামির অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নং-০১, ঢাকার বিজ্ঞ বিচারক গত ১০-১০-২০১৮ তারিখে রায় ঘোষণা করেন। বিচারে ৪৯ জন আসামির সাজা হয়, যার মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জন আসামির মধ্যে ৩৪ জন আসামিকে আটক করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে গ্রেনেড হামলা করা হয়। এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ ধারা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ১৯০৮-এর ৩/৪ ধারায় মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলাটির তদন্ত শেষে মোট ৫২ জন আসামির বিরুদ্ধে উল্লিখিত আইনে ২টি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।