বৈশ্বিক বাণিজ্যের বড় একটি অংশ মার্কিন মুদ্রা ডলারের ওপর নির্ভরশীল। অনেকদিন ধরে বিকল্প মুদ্রার ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে সে আলোচনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। পশ্চিমা দেশ-বহির্ভূত ব্রিকস জোটের সাম্প্রতিক বৈঠকেও বিষয়টি উঠে এসেছে। খবর দ্য হিন্দু।
রাশিয়ার নিজনি নভগোরোডে সোমবার বৈঠকে বসেন ব্রিকস দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এ সময় তারা জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানান।
কভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় অনেক দেশই পিছিয়ে রয়েছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধরনের সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে মেরুকরণ নীতিগুলো অগ্রাধিকার পাচ্ছে। সাম্প্রতিক বৈঠকে ব্রিকসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ ধরনের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা ও এতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আরো ফলপ্রসূ অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ব্রিকস বৈঠকে স্থানীয় মুদ্রার ব্যবহারের ওপর জোর দেয়া এবারই প্রথম নয়। গত বছর জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছিল, যাকে দ্বিতীয় জোহানেসবার্গ ঘোষণার ৪৫ নম্বর অনুচ্ছেদ বলা হয়। বলা যায়, এবার সে ঘোষণার প্রতিধ্বনি শোনা গেল। ৪৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্থানীয় মুদ্রা, লেনদেনের উপকরণ, প্লাটফর্ম ও এ বিষয়গুলোর ওপর প্রতিবেদন দেয়ার জন্য দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দেয়া যৌথ বিবৃতিতে।
একই সঙ্গে মিসরের কপ২৭ সম্মেলনে তোলা দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে হবে। এ সংস্কারের মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশে অর্থায়নের সুযোগ ও প্রয়োজনীয় উপকরণের সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
এমআই