আন্তর্জাতিক
ব্রিকসে আপাতত নতুন সদস্য নয়, যুক্ত হবে অংশীদার রাষ্ট্র
উদীয়মান জাতীয় অর্থনীতির জোট ব্রিকসে এমুহুর্তে আর কোনো নতুন সদস্য নেওয়া হবে না। তবে পূর্ণ সদস্যের পরিবর্তে এ জোটে ‘অংশীদার রাষ্ট্র’ মডেলে ভবিষ্যতে নতুন দেশকে যুক্ত করা হবে। ব্রিকসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার (১০ জুন) রাশিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় নিঝনি নোভগ্রোদ শহরে শুরু হয়েছে ব্রিকসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দুই দিনের এ বৈঠক। জোটের সদস্য হতে আগ্রহী কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশও।
ব্রিকসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ১ জুন বৈঠকে যোগ দিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি লেখেন। যদিও আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধিরা সরাসরি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে নয়, তাঁদের জন্য নির্ধারিত আলাদা একটি ফোরামে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ নন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি যোগ দিচ্ছেন।
জানা গেছে, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবর্তে সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি অংশ নেবেন। কারণ, একই সময়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌদি আরবে পূর্বনির্ধারিত সফর রয়েছে।
ভারতের হিন্দু বিজনেস লাইনের খবরে বলা হয়েছে, ব্রিকসের পরিধি বৃদ্ধির ফলে চীনের প্রভাব বাড়তে থাকবে। চীনের এ প্রভাবের লাগাম টানতে ভারত নতুন করে আরও কয়েকটি দেশকে সদস্যপদ দেওয়ার আগে পাঁচ বছরের বিরতি দিতে বলেছে। ভারতের এমন অবস্থানে সায় আছে ব্রাজিলের।
ব্রিকসের পরিধি বাড়ানোর আগে বিরতি নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের মনোভাবের বিপরীতে চীনের অবস্থান। ৩ জুন বেইজিংয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনায় চীনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সুন ওয়েডং বাংলাদেশের ব্রিকসের সদস্য হতে তাঁর দেশের সমর্থনের কথা জানান।
এখন ভারতের এমন মনোভাবের কারণে জোটের সদস্য হতে বাংলাদেশসহ অন্তত ১০টি দেশকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
ঢাকা ও মস্কোর কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, ব্রিকসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশকে একেবারে শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণ জানায় রাশিয়া। এ আমন্ত্রণের জন্য নানামুখী তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবর্তে সমাজকল্যাণমন্ত্রীকে বৈঠকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তা রাশিয়াকে অসন্তুষ্ট করতে পারে।
ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি ৩ জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি হাছান মাহমুদের হাতে সের্গেই লাভরভের চিঠি তুলে দেন। ওই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্য কাউকে ব্রিকসের বৈঠকে পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন।
হাছান মাহমুদকে ব্রিকসের বৈঠকে যোগ দিতে সের্গেই লাভরভের চিঠি সম্পর্কে জানতে ঢাকায় রুশ দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে দূতাবাস এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অনীহা প্রকাশ করেছে।
প্রাথমিকভাবে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা এ পাঁচ দেশ ব্রিকস গঠন করেছিল। গত বছরের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা, ইরান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইথিওপিয়াকে সদস্য হতে আমন্ত্রণ জানায় ব্রিকস। পরে জোটের সদস্য করা হয় আর্জেন্টিনা বাদে বাকি পাঁচ দেশকে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর
মিলিশিয়াদের হুমকি থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সাদিক আল-কবীর। তিনি নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে প্রকাশিত একটি টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আল-কবীর বলেন, মিলিশিয়ারা ব্যাংক কর্মীদের হুমকি ও ভয় দেখাচ্ছে এবং কখনও কখনও তাদের সন্তান ও আত্মীয়দেরকে কাজে যেতে বাধ্য করার জন্য অপহরণ করছে।
লিবিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশটির বিলিয়ন ডলারের তেল ভিত্তিক রাজস্বের পরিচালনা করত। ২০১১ সালে ন্যাটো বাহিনীর অভিযানে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা মুয়াম্মার গাদ্দাফি উৎখাত হন। এরপর থেকেই দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়। বর্তমানে দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমের প্রশাসনের মধ্যেও এই অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
এই দুই প্রশাসনের মধ্যে গত সোমবার থেকে নতুন দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। ত্রিপলি ভিত্তিক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দেইবাহ, যিনি পশ্চিম লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি সরকারের জন্য কাজ করছেন। গর্ভনর সিদ্দিক আল-কবির পালিয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর অফিসে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার এবং বিদ্রোহী দলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। আল কবির অভিযোগ করেন, লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার তেল ভিত্তিক রাজস্বের অপব্যবহার করছেন।
এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় বেনগাজি ভিত্তিক লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওসামা হামাদ, সোমবার থেকে তেলক্ষেত্রগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
যদিও পূর্বাঞ্চলের সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার নয়। তবে এ সরকারের সামরিক নেতা খলিফা হাফতার লিবিয়ার বেশিরভাগ তেলক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করেন।
ত্রিপলিতে আল জাজিরার সাংবাদিক মানিক তৃনা বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই সম্পূর্ণভাবে ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে নেয়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধিতে ভাটা
গত এপ্রিল থেকে জুন প্রান্তিকে ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। গত পাঁচ প্রান্তিকের মধ্যে সমাপ্ত জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সর্বনিম্ন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভারতের ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও) জানিয়েছে, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। গত বছর একই প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ২। মূলত কৃষি খাতের গতি কমে যাওয়ায় জিডিপির সূচক নিম্নমুখী হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের
কয়েক দিন আগেই রয়টার্সের এক জরিপে বলা হয়েছিল, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাবে। এবার ভারতের সরকারি পরিসংখ্যানেই জানা গেল, প্রবৃদ্ধি কমেছে।
করোনা মহামারির শুরুতে ২০২০ সালে ভারতের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছিল। এরপর দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবও বেশ ভালোভাবে মোকাবিলা করেছে দেশটি। গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৪ ছাড়িয়ে যায়। তখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, এটাই ভারতের অর্থনীতির সক্ষমতা।
সেই সঙ্গে গত কয়েকটি প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশের ওপর বা তার আশপাশে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মার্চে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। তবে এ বছর এপ্রিল-জুন অর্থবছরে চীনের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৭। ফলে এই প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমলেও এখনো তারা বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল।
এনএসওর তথ্যানুযায়ী, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ভারতে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধির গতি কমে গেছে; এই সময় দেশটির কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ শতাংশ। আগের প্রান্তিকে যা ছিল ৩ দশমিক ৭। উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের আশপাশে আছে; যদিও আবাসন ও কর্মক্ষেত্রে জিভিএ (দেশের বাজারে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্য) ১২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ১ শতাংশে নেমেছে।
অর্থনীতিবিদেরা বলেন, জিডিপির চেয়ে জিভিএর হিসাব দিয়ে অর্থনীতির চালচিত্র বেশি বোঝা যায়। জিভিএর সঙ্গে কর ও ভর্তুকির নিট ফলাফল যোগ করে জিডিপির হিসাব পাওয়া যায়। ধরা যাক, দেশে গত বছর ১০০ টাকা মূল্যের পণ্য তৈরি হয়েছিল। এ বছরও ১০০ টাকা মূল্যের পণ্য তৈরি হয়েছে। জিভিএর হিসাব বলবে, বৃদ্ধির হার শূন্য। কিন্তু ওই পণ্যের ওপর যদি এ বছর ২০ টাকা কর চাপে, তাহলে গত বছরের জিডিপি ১০০ টাকা হলেও এ বছর তা ১২০ টাকা হবে। সে ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ।
এ ছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও অন্যান্য লাভজনক ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৪ থেকে বেড়ে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। নির্মাণ খাতে গত বছর একই সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৬। এই প্রান্তিকে তার হার ১০ দশমিক ৫। হোটেল, পরিবহন ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে; নেমে এসেছে ৪ শতাংশে। যদিও চলতি বছর প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কাছাকাছিই থাকবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞেরা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকেই ভারতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭ শতাংশের বেশি। গত বছরের এপ্রিল-জুন থেকে শুরু করে প্রথম তিনটি প্রান্তিকে তা ছিল ৮ শতাংশের ওপরে। ফলে গত অর্থবছরে বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে দ্রুততম প্রবৃদ্ধির দেশ ছিল ভারত। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, চলতি বছর হয়ে যাওয়া নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে মোদি সরকার বিপুল পরিমাণে অর্থ ব্যয় করেছে। কিন্তু নির্বাচনের পর সরকারি ব্যয় কমেছে। সে কারণেই প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। আশঙ্কা আছে, প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে যেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইরানের প্রথম নারী মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি
ইরানের মাসুদ পেজেস্কিয়ান সরকারের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফাতেমেহ মোহাজেরানি। তিনি ইরান সরকারের প্রথম নারী মুখপাত্র। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
তেহরান টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান সরকারের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ফাতেমেহ ১৯৭০ সালে আরাকে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর স্কটল্যান্ডের এডিনবরার হেরিয়ট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডক্টরেড ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যবসা এবং প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ফাতেমেহ।
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সরকারের আমলেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সেখানকার টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং ইউনিভার্সিটি অব শরিয়তির প্রধান হিসেবে কার্যনির্বাহ করেন। ইরানের সেন্টার ফর ব্রিলিয়ান্ট ট্যালেন্টসের প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১৭ সালে।
উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে ইরানে হিজাব না পরায় মাহশা আমিনি (২২) নামে এক নারীকে পুলিশি হেফাজতে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আম্বানিকে সরিয়ে ফের ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলেছেন আরেক ধনকুবের গৌতম আদানি। গত ৫ বছরে ভারতীয় শীর্ষ ১০ ধনীর মধ্যে আদানির সম্পদই সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে। সম্পদের সবশেষ হিসাবে আম্বানিকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ‘হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৪’ প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গৌতম আদানি গোষ্ঠির মোট সম্পদ এখন ১১ লাখ ৬০ হাজার কোটি রুপি। হুরুনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। তার সম্পদের পরিমাণ ১০ লাখ ১৪ হাজার কোটি রুপি।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, হুরুন রিচ লিস্ট অনুযায়ী গত এক বছরে আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ বেড়েছে।
তার মধ্যে আদানি পোর্টসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯৮ শতাংশ। জ্বালানি খাতের কোম্পানি আদানি এনার্জি, আদানি গ্যাস, আদানি ট্রান্সমিশন ও আদানি পাওয়ারের শেয়ারের দাম গড়ে ৭৬ শতাংশ বেড়েছে।
ভারতের শীর্ষ ধনীর মধ্যে তৃতীয়স্থানে রয়েছেন এইচসিএল টেকনোলোজিসের কর্ণধার শিভ নাদার এবং তার পরিবার। তাদের সম্পদের পরিমাণ ৩ দশমিক ১৪ লাখ কোটি রুপি।
চতুর্থস্থানে আছেন সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সায়রাস এস পুনওয়াল্লা এবং তার পরিবার। তাদের সম্পদের পরিমাণ ২ দশমিক ৮৯ লাখ কোটি রুপি।
২ দশমিক ৪৯ লাখ কোটি রুপির সম্পদ নিয়ে পঞ্চমস্থানে আছেন সান ফার্মাসিউটিক্যালসের দিলীপ সাংঘভি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে যে বার্তা দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বাংলাদেশের উদাহরণ দিয়ে ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যটিতে জন্মাষ্টমীর এক অনুষ্ঠানে ঐক্যের এই বার্তা দেন তিনি।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘একসঙ্গে থাকার মধ্যেই জাতির শক্তি নিহিত রয়েছে’। এসময় উদাহরণ হিসাবে টানেন বাংলাদেশ প্রসঙ্গও।
সোমবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আগ্রায় গিয়েছিলেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেখানে বক্তৃতায় বার বার সাম্প্রদায়িক ঐক্যের ওপর জোর দেন তিনি। ভাষণের পর রাষ্ট্রীয় বীর দুর্গাদাস রাঠৌরের একটি ভাস্কর্য উন্মোচন করেন তিনি।
সেখানেই যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে (বিভাজন মানে ধ্বংস)’। ‘একতায় উত্থান, বিভেদে পতন!’ বলেও প্রাচীন একটি প্রবাদবাক্য মনে করিয়ে দেন তিনি।
আদিত্যনাথ আরও বলেন, ঐক্য ছাড়া কিছুই করা যায় না। কোনও কিছু অর্জনও করা যায় না। আমরা ঐক্যবদ্ধ হলেই জাতি শক্তিশালী হবে। দেখুন না, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে কী হচ্ছে। দেখছেন তো? আমরা যেন সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি না করি।
অবশ্য আদিত্যনাথের মন্তব্যের পরেই কটাক্ষ করেছেন কনৌজের সংসদ সদস্য তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ নিয়ে যোগীর মন্তব্য শুনে মনে হচ্ছে যেন ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়তে চলেছেন তিনি! অবশ্য তিনি যে প্রথম বার এমন ইঙ্গিত দিচ্ছেন এমনটা নয়। তবে আমার বিশ্বাস, এবার দিল্লির কর্মকর্তারা তাকে শিগগিরই জানিয়ে দেবেন রাষ্ট্রীয় বিষয়ে নাক না গলাতে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে উল্টো পথে হেঁটেছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। সেসময় তিনি বলেছিলেন, এ হলো আশি-বিশের ভোট। বিরোধীদের দাবি, ইঙ্গিতটা ছিল উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘু ২০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার দিকে।
বরং সে সময় ‘বাঁটে তো কাটে’ ছিল সমাজবাদী পার্টির নির্বাচনী স্লোগান! এবার বিরোধীদের সেই নির্বাচনী স্লোগান উল্লেখ করেই ঐক্যের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ।