গত চার ধাপের তুলনায় পঞ্চম ধাপের ১৯ উপজেলায় ভোটের হার বেড়েছে। এ ধাপে ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রবিবার (৯ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে আরেকটি ধাপ বেড়েছে। আজ পঞ্চম ধাপে ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হলো। ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে আজ পর্যন্ত ৪৬৯টিতে নির্বাচন সম্পন্ন করলাম। এবার প্রতিটি জেলায় তিনটি বা চারটি ধাপে হয়েছে। এজন্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জন্য সহজ হয়েছে, স্বস্তিদায়কও হয়েছে। ২৬টি উপজেলা নির্বাচন বাকি আছে। এর মধ্যে কয়েকটির এখনো মেয়াদপূর্তি হয়নি। কয়েকটি আদালতের নির্দেশনার কারণে স্থগিত রেখেছি। যথাসময়ে ওগুলো আমরা করব। তবে উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শেষ হয়েছে।
সিইসি বলেন, আজকের নির্বাচনে এক হাজার ১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টি ভোটকেন্দ্রের হিসাব পেয়েছি। সেদিক থেকে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। কাজেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না কত ভোট পড়েছে। আজ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন পোলিং অফিসার নির্বাচনী অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এদিক থেকে আমরা কঠোর ছিলাম। মোট চারজন আহত হয়েছেন। দুজন গুরুতর হয়েছেন। সেখানে মোটামুটি বলা যায় কোপাকুপি হয়েছে। খুব যে গুরুতর ওরকম কিছু নয়। আজ ভোটার ছিল ৩০ লাখ ৪৬ হাজার। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে কিছু কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেই থাকে। অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। অনৈতিকভাবে অর্থের লেনদেনের খবরও আমরা পেয়ে থাকি। এগুলো বাস্তবতা। এগুলো উত্তরণের চেষ্টা পরিশেষে আমরা আলাপ-আলোচনা করে কীভাবে ঠিক করা যায়, তা ঠিক করব। তবে সার্বিকভাবে আমার মনে হয় নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশের যে ভূমিকা তা প্রশংসনীয়। আমাদের নির্দেশনা তারা কঠোরভাবে প্রতিপালন করছেন। রাজনৈতিক সদিচ্ছাও ছিল খুব ইতিবাচক। তবে এবার নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল, দেখা গেছে দুই-একটি দল ছাড়া বাকিরা রাজনৈতিক প্রতীকে অংশগ্রহণ করেনি। যার ফলে নির্বাচনটা আগের মতো স্থানীয়ভাবে ব্যক্তি ভিত্তিক হয়েছে। যদিও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেছেন, তবে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়।