দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০২৪। ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কর্মসূচির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্মার্ট ভূমি সেবা, স্মার্ট নাগরিক।’ শতভাগ হয়রানি, ভোগান্তি ছাড়াই মিলবে ভূমির যাবতীয় সেবা।
শনিবার (৮ জুন) ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা এবং ৫০৭টি উপজেলা, রাজস্ব সার্কেল, ইউনিয়ন ও পৌর ভূমি অফিসে এ কর্মসূচি চলবে। ভূমি সংক্রান্ত সেবাগুলোর মধ্যে ই-নামজারি, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়া, মৌজা ম্যাপ, খতিয়ান দেওয়াসহ ভূমি সংক্রান্ত অন্যান্য সেবা দেওয়া হবে। ৮টি বিভাগে বিশেষভাবে প্রস্তুত ৮টি গাড়ি ভ্রাম্যমাণ স্মার্ট ভূমি সেবা দেবে।
সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশনে ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলামসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি সেবা সপ্তাহ চলাকালে সেবাগ্রহীতারা হয়রানি, ভোগান্তিহীনভাবে ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ল্যান্ড সার্ভিস গেটওয়ের (এলএসজি) মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রজন্মের মিউটেশন, খতিয়ান ও এলডি ট্যাক্সের আন্তঃসংযোগ স্থাপন, শতভাগ হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করা হবে। দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন ও সম্পূর্ণ ক্যাশলেস ভূমি অফিসসহ সর্বোচ্চ রাজস্ব বাড়ানো নিশ্চিত করা, হয়রানিমুক্ত ও নাগরিকবান্ধব প্রত্যাশিত ভূমি সেবা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সব ভূমি অফিসে ভূমি সেবা ও তথ্য বুথ স্থাপন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা বা আটকে থাকা ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। সেবা দেওয়ার সময় কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে শিথিলতা বা কোনো ধরনের অবহেলা, উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আগে ভূমি করের হিসাব বাংলা বৈশাখ-চৈত্র মাস হিসাব করে হলেও এখন থেকে অর্থবছর জুলাই-জুন মাস ধরে হিসাব করা হবে।
এদিকে ভূমি সেবা সপ্তাহে যেসব সেবা দেওয়া হবে সেগুলো হলো- অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে সহায়তা এবং ভূমি উন্নয়ন কর সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে গ্রহণ করার বিষয়টি ব্যাপক প্রচার। ই-নামজারির আবেদন করার বিষয়ে অবহিতকরণ ও সহযোগিতা দেওয়া। নিষ্পত্তিকৃত এলএ কেইসের ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া। অনলাইনে খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার আবেদন গ্রহণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে তা সরবরাহ। অনলাইনে আবেদনকৃত মৌজাম্যাপ ডাক বিভাগের মাধ্যমে সরবরাহ করা। মাঠ পর্যায়ে চলমান জরিপ কার্যক্রম বিষয়ে গণশুনানি, আপত্তি ও আপিল দাখিল-নিষ্পত্তির কার্যক্রম গ্রহণ ও রেকর্ড হস্তান্তরসহ জনগণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেবা পাবে।