জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) সব নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর শুক্রবার রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন জোট সরকার গঠনের অনুমতি চাইবেন নরেন্দ্র মোদি। গত মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে নরেন্দ্র মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) জোটের অংশীদারদের সঙ্গে দর কষাকষিতে ব্যস্ত রয়েছে।
লোকসভার ৫৪৩ আসনের ২৯৩টিতে জয় পেয়েছে এনডিএ। বিজেপি আগের দুই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেলেও এবার ২৪০ আসন পেয়েছে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। এ কারণেই বিজেপিকে জোটের সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হচ্ছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বিজেপির কাছে জোটের চার সঙ্গী এখন গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি, নীতীশ কুমারের জেডিইউ, একনাথ শিন্ডের শিব সেনা এবং চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি-রাম বিলাস।
আঞ্চলিক দলগুলোর নেতারা তাদের নতুন প্রভাব কাজে লাগাতে চাইছে মন্ত্রীর পদ দখল করতে। বিভিন্ন সূত্র জানায় তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) স্পিকারসহ মন্ত্রিসভায় পাঁচটি পদ চেয়েছে। আর নীতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড) রেলওয়ে ও গ্রামীণ উন্নয়নের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদের দাবিদার।
চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমার- জোট আমলের এই দুই প্রবীণ রাজনীতিক আজ (শুক্রবার) এনডিএ বৈঠকের আগে তাদের দলের নেতাদের সাথে আলোচনা করছেন। বিজেপি অবশ্য নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির অধীনে থাকা চার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়- প্রতিরক্ষা, অর্থ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সঙ্গীদের স্থান দিতে আগ্রহী নয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এনডিএর বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন, যেখানে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নেতা নির্বাচিত হবেন। এদিনই তিনি সরকার গঠনের অনুমতি চাইতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রোববার সন্ধ্যায় মোদী শপথ নেবেন।
এমআই