ক্যাটাগরি: শিল্প-বাণিজ্য

প্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতি দেওয়ায় ই-ক্যাবের সাধুবাদ

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আইটি ও সফটওয়্যার খাতকে আগামী তিন বছর কর অব্যাহতি প্রদান করায় সাধুবাদ জানিয়েছে ই-ক্যাব। সংগঠনটি জানায়, দেশের সকল ট্রেডিশনাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-কমার্স এ ট্রান্সফর্ম করার জন্য প্রয়োজন আইটি ইনফাস্ট্রাকচার। সেজন্য আইটি ও সফটওয়্যার খাতে এবারের বাজেটে আগামী ৩ বছরের জন্য কর অব্যাহতি রাখায় এই খাতের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তবে পুরো ডিজটাল ইন্ড্রাস্ট্রির ব্যাকবোন ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ ওয়েবসাইট হোস্টিং ও ক্লাউড সার্ভিসকেও কর অব্যাহতির আওয়াত নিয়ে আসার দাবি জানায় এ সংগঠন।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ই-ক্যাবের পক্ষে এসব কথা তুলেন ধরে সংগঠনটির অর্থ সম্পাদক ও ব্রেকবাইট ই-বিজনেসের সিইও আসিফ আহনাফ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান সমূহের কার্যক্রমে সচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠাকল্পে বিজনেস আইডেন্টিটি প্ল্যাটফর্ম (ডিবিআইডি) ইক্যাবের জোরালো প্রস্তাবনা ছিল। ইতোমধ্যে এটি চালু হলেও ডিজিটাল কমার্স সেক্টরের পৃথক কোন কর্তৃপক্ষ না থাকায় ডিবিআইডি গ্রহনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহকে এখনো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এছাড়াও ডিবিআইডির কার্যকারিতাও এখনো স্পষ্ট হয়নি। এছাড়াও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় ইক্যাবের প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল কম্পলায়েন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের পাইলটিং পরবর্তী ব্যাপক জনসচেতনতা তৈরি প্রয়োজন বলে জানায় সংগঠনটি।

সংগঠনটি জানায়, ই কমার্স এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্মার্ট লজিস্টিক্স। এ বিষয়ে সরকারের “জাতীয় লজিস্টিক নীতি” প্রনয়নে ই-ক্যাব সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে। তবে এই নীতিমালার বাস্তবায়নে স্মার্ট লজিস্টিকস প্রতিষ্ঠানসমূহকে ন্যূনতম পাঁচ বছর কর অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন এবং গ্রামীণ পর্যায়ে ও ক্রস বর্ডার ই-কমার্স সম্প্রসারণে “স্মার্ট পোস্ট অফিস” এর পাশাপাশি স্মার্ট লজিস্টিক্স প্রতিষ্ঠানসমূহকে ডাক মাশুল থেকেও অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।

সর্বোপরি প্রস্তাবিত বাজেটে লজিস্টিক খাতকে অগ্রাধিকার খাত ঘোষনা করায় স্মার্ট লজিস্টিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ওয়্যারহাউজ ও ট্রাস্পোর্টেশনের উপর প্রযোজ্য ভ্যাট মওকুফ করার আহ্বান জানায় ই-ক্যাব।

ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ক্যাশলেস পেমেন্টকে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হলেও পেমেন্ট গ্রহনে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহকে পেমেন্ট চার্জ প্রদান করতে হয়, তাই ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে এই সেক্টরে পেমেন্ট চার্জ সমমানের ন্যূনতম দুই শতাংশ ক্যাশ ইন্সেটিভ প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে ক্যাশলেস পদক্ষেপ নেওয়া বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে যা সামগ্রিক পর্যায়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহজ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ই-কমার্স দেশের সবচেয়ে ক্রমবর্ধমান সেক্টর। এই সেক্টরে গত ৫ বছরে প্রায় ২ লক্ষ নারী ও তরুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে এবং ৫ লক্ষাধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাই এই সেক্টরের বিকাশে ২০৩১ সাল পর্যন্ত ই-কমার্স উদ্যোক্তাদের কর অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার