ক্যাটাগরি: ধর্ম ও জীবন

ঈদুল আজহা কোন দেশে কবে উদযাপন?

ঈদুল আজহা অর্থ ত্যাগের উৎসব। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি এটি। এই উৎসবটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ফজরের নামাযের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে ও অব্যবহিত পরে স্ব-স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে।

ইসলামি চান্দ্র পঞ্জিকায়, ঈদুল আযহা জিলহজের ১০ তারিখে পড়ে। আন্তর্জাতিক (গ্রেগরীয়) পঞ্জিকায় তারিখ প্রতি বছর ভিন্ন হয়, সাধারণত এক বছর থেকে আরেক বছর ১০ বা ১১ দিন করে কমতে থাকে। ঈদের তারিখ স্থানীয়ভাবে জিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ইতোমধ্যে সৌদি আরবে এ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে মুসলিমদের দ্বিতীয় বড় উৎসবের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশটির আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে দেশটিতে বৃহস্পতিবার জিলহজ মাসের প্রথম দিন। এর মানে হলো সৌদি আরবে আগামী ১৬ জুন (রোববার) ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে এবং ১৫ জুন হবে আরাফার দিন।

এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমানের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এখনো চাঁদ দেখা যায়নি। তাই এই দুই দেশে শনিবার থেকে জিলহজ মাস শুরু হবে এবং সৌদি আরবের পরের দিন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। তার মানে হলো এ দুই দেশে আগামী ১৭ জুন ঈদ হবে।

বৃহস্পতিবার কাতার, কুয়েত, জর্ডান, সিরিয়া, ইরাক এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় জিলহজের চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হলেও চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামী ১৭ জুন দেশগুলোতে ঈদ উদযাপন করবেন মুসলিম নাগরিকরা।

এদিকে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, মালয়েশিয়া, জাপান, হংকং, ব্রুনাইসহ অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশে চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকের তোড়জোড় শুরু করেছে। আজ এসব দেশে জিলহজের চাঁদ দেখার চেষ্টা করা হবে। আজ এসব দেশে আজ চাঁদ দেখা গেলে ১৭ জুন ঈদ উদযাপিত হবে। আর যদি আজ চাঁদ দেখা না যায় তাহলে ১৮ জুন ঈদ উদযাপন করা হবে।

এমআই

শেয়ার করুন:-
শেয়ার