বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য সুসংবাদ দিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাংলাদেশ থেকে বাইক ও ট্যাক্সিচালক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুবাইয়ের রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি।
বাংলাদেশ কন্স্যুলেট দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা নীতিতে কঠোরতা থাকলেও আশার বাণী শুনিয়েছে দুবাই কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ থেকে এবার তারা ৯০০ জন মোটরসাইকেল চালক নেবেন। ইতোমধ্যে তারা ডিমান্ড লেটারও পাঠিয়েছে দুবাইস্থ বাংলাদেশ মিশনে।
দেশটির বাংলাদেশ কনস্যুলেট জানিয়েছে, ইতোমধ্যে দুবাই ট্যাক্সি কোম্পানি থেকে ৯০০ কর্মীর ডিমান্ড লেটার পেয়েছেন তারা। আপাতত কোম্পানিটি ৯০০ বাইক রাইডারের ডিমান্ড করলেও, তারা বাংলাদেশ থেকে মোট দেড় হাজার বাইক রাইডার নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান গত ২৪ মে দুবাই সফরকালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয় এমন ১৬টি বড় কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর বিষয়ে আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।
এ সময় দুবাই ট্যাক্সি কোম্পানির নির্বাহী পরিচালকও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর পরই তাদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এলো।
এদিকে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে ভাষাগত দক্ষতার ওপর বেশ জোর দেওয়া হচ্ছে। নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীরা বেসিক স্যালারি হিসেবে মাসে প্রায় ২৬০০ দিরহাম (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৩ হাজার টাকার বেশি) পাবেন। সঙ্গে আবাসন সুবিধাও দেওয়া হবে। তবে কর্মীরা যেন দালালের ফাঁদে না পড়েন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, দুবাইতে ডেলিভারি কাজে সুযোগ পান বাইক রাইডাররা। তারা কাজ করেন কমিশন ভিত্তিতে দিনে ৮ ঘণ্টা, আবার কেউ ১২ ঘণ্টা কাজ করেন। তারা জানান, এই দেশে আসতে হলে বাংলাদেশের বাইকের লাইন্সেস থাকলেও আমিরাতে এসে পুনরায় লাইন্সেস নিতে হয়। তাই নতুনদের সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশটিতে প্রবেশ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।