ক্যাটাগরি: শিল্প-বাণিজ্য

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর আশ্বাস তুরস্কের ব্যবসায়ী নেতার

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তুরস্কের তুরস্কের ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্সের (সানকন) চেয়ারম্যান ফেরুদুন জেবাহিরোলু।

এক বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য শেষে তিনি জানান, বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইতোমধ্যে তারা বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন। কিন্তু দুপক্ষের অত্যন্ত আন্তরিকতা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বিগত কয়েক বছরে আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। করোনা মহামারি, দুই দেশের জাতীয় নির্বাচন এর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এখন তারা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে সবরকমভাবে প্রস্তুত। আগামী ঈদুল আজহার পর বাংলাদেশ সফরে তারা কিছু বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সোমবার (৩ জুন) সানকনের আংকারার হেড অফিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হকের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে তুরস্কের বেশকিছু স্বনামধন্য কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাষ্ট্রদূত, কাউন্সেলর এবং দ্বিতীয় সচিব সানকনের কার্যালয়ে পৌঁছালে চেয়ারম্যান ও অন্য কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত প্রারম্ভিক বক্তব্য শেষে জানান, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিব এরদোয়ানের সঙ্গে আলাপকালেও তিনি একই বার্তা পেয়েছেন; যেটি হলো বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি। ভ্রাতৃপ্রতিম দুটি দেশের বাণিজ্য দীর্ঘদিন থেকে এক বিলিয়ন ডলারের আশেপাশেই রয়েছে বলে তিনি জানান। অথচ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি সানকনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিরাপদ ও লাভজনক। সরকার থেকে প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে সেটি হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই, যেহেতু দূতাবাস এবং সরকারের সংশ্লেষ থাকবে। বাংলাদেশের দক্ষ শ্রমিকের অপ্রতুলতা নেই এবং ব্যবসা পরিচালনাও তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল বলেও রাষ্ট্রদূত জানান।

তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সরেজমিনে পরিদর্শনের আহ্বান জানান।

এছাড়াও বৈঠকে ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও তুরস্কের ভূমিকার বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে এবং জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভে ফিলিস্তিনকে সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানানো হয়।

শেয়ার করুন:-
শেয়ার