ঝিনাইদহে ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস সংক্রান্ত কুইজ প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন ধরনের ঔষধি ও ফলের চারা উপহার দেয়ার মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে।
বুধবার (০৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহে সরকারি কেশব চন্দ্র কলেজে বিজ্ঞান ভবনের ১৩২ নং কক্ষে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভিবিডির সভাপতি অমৃতা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে অধ্যক্ষ অশোক কুমার মৌলিক, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফজলে রাব্বি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, ভিবিডির সকল বোর্ড মেম্বার, কমিটি মেম্বারসহ সর্বমোট অর্ধ শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক মো. ফজলে রাব্বি বলেন, আজকে ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ঝিনাইদহ শাখা, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে সচেতনা বৃদ্ধির যে উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য আমি সবাইকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানায়। সেবার যখন সিডর হয়েছিলো- সিডরের যে ধ্বংসযজ্ঞ সেটা আরো কয়েকগুণ বাড়তে পারতো কিন্তু সুন্দরবন সেসময় আমাদের রক্ষা করেছিলো। এবারও রেমালের তান্ডবের হাত থেকে আমাদেরকে আগলে রেখেছে। আমাদের রক্ষা করে গেছে অথচ সেই সুন্দরবনেই আজ পর্যটকদের জন্য ৬০টিরও অধিক রিসোর্ট তৈরি করা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে সুন্দরবনের ভিতরে পর্যন্ত রিসোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে এবং ধীরে ধীরে বনাঞ্চল ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। এই যে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি ও বনায়ন এবং অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পরিবেশকে বাঁচাতে পারবো।
এসময় অধ্যক্ষ অশোক কুমার মৌলিক বলেন, এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য আমি প্রথমেই অভিনন্দন জানায় এবং এই বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমাদের পরিবেশটাকে আমরা বাঁচাতে পারবো। আমি আনন্দিত এমন একটা প্রোগ্রাম কলেজে অনুষ্ঠিত হলো। পরিবেশ যদি বাঁচাতে না পারি কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশ কখনোই আর কৃষিতে নির্ভর থাকতে পারবে না এবং শুধুই যে ধান পাট উৎপাদন সেটা নয়, পরিবেশের যে বিপর্যয় ঘটেছে সেই পরিবেশের বিপর্যয় ঘটানোর পেছনে কৃষি বলতে যেটা বুঝি, ধান পাট ছাড়াও আরো অনেক উপকরণ আছে যেটাকে আমরা কৃষি হিসেবে বিবেচনা করি। সেইটাকে যদি সংরক্ষণ করতে পারি। তবেই আমার মনে হয় যে আমরা কৃষিকে বাঁচাতে পারবো এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা, যে মিশন নিয়েছেন, সেটাকে আমরা আসলেই বাস্তবায়ন করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে হলে দেশের মানুষদেরকেও স্মার্ট হতে হবে। যেহেতু ৮৫ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল, এই কৃষকদেরকেও আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য অবশ্যই আমাদের এই পরিবেশটাকে সংরক্ষণ ও উন্নয়নের চেষ্টা করতে হবে। এর অংশ হিসাবে আজকে কলেজে যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিটা পালন করা হলো এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পরিবেশটাকে উন্নত করার জন্য যে গাছ লাগানো হচ্ছে এবং যে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে আমি আবারো ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ঝিনাইদহ শাখা কে অভিনন্দন জানাচ্ছি পরবর্তীতে তারা আরো এইরকম কাজ করবে। আমাদের ক্ষমতা দিয়ে তাদেরকে যতটুকু পারি সাহায্য করবো। তাতে আমাদের এই কৃষি প্রধান দেশ বাঁচবে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার যে মিশন সেটা বাস্তবায়িত হবে।
উল্লেখ্য, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাকিব আসলামের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচিতে কুইজে অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের বিভিন্ন ধরনের ঔষধি ও ফলের চারা উপহার দেয়া হয়।