ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ছুটিকালীন সময়ে আবাসিক হল সমূহ খোলা রাখার দাবীতে মেইন গেটে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ জুন) দুপুরে মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুপুর ২টার বাস চলাচল। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদাহ রুটে যাতায়াতকারী শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এসময় মেইন গেটের সামনে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসের লম্বা লাইন সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহর উপস্থিতিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগামী ৮ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল ও ঈদ উপলক্ষে ইবি ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কথা রয়েছে। তাই আগামী ১০ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রভোস্ট কাউন্সিল। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের ১০ জুন সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয় আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছে ইবি শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবী, একই সময়ে ৬/৭ টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস অবস্থান করে যাদের অনেকেই টিউশনি করে এবং বিসিএস বা অন্যান্য চাকরি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় যারা ছুটকালীন সময়েও হলে থেকে পড়াশোনা করে। ২৩ দিন ছুটির মধ্যে ১৪ দিন হল বন্ধ থাকলে তাদের পড়াশোনা এবং টিউশনি করাতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, অনেকের ‘বিজেএস’ এর প্রিলি হয়েছে, সামনে লিখিত পরীক্ষা। অনেকেই বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই ওনাদের জন্য এই লম্বা ছুটি ক্ষতির কারণ। অনেক চাকরি পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাথে আলোচনা করে ভিসি স্যার যেন এই ছুটি কমিয়ে আনেন, এটাই আমাদের দাবী।
প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত হয় ১১ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত হল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। এখন শিক্ষার্থীদের দাবীর বিষয়টি আমাকে ছাত্র উপদেষ্টা অবগত করেছেন। এখন যদি প্রশাসন থেকে আমাদের চিঠি দেয়া হয় তাহলে বিষয়টি নিয়ে একসাথে বসে যেকোন সিদ্ধান্ত নিবো।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম জানান, ক্যাম্পাস এবং হল নিজস্ব নিয়ম এবং শিডিউল মেনে চলে। বছরের শুরুতেই একাডেমিক ক্যালেন্ডার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। হল বন্ধের ব্যাপারটাও পূর্বনির্ধারিত। ছুটির সিদ্ধান্তের রেজুলেশনও হয়ে গেছে। আমি চাইলেই নিয়মবহির্ভূত ভাবে কিছু করতে পারবো না। এবিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টাকে বলেছি প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাথে যোগাযোগ করতে। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম