সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ ও কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপান্তরকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল এবং এসডিজি অর্জনে সরকার সঠিক পথে রয়েছে। এসডিজি অর্জনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিখাতের বড় ভূমিকা রয়েছে।
রবিবার (২ জুন) আগারগাঁওয়ের এনইসি-২ সম্মেলনকক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাপোর্ট টু সাস্টেইনেবল গ্র্যাজুয়েশন প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, আমাদের প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বাড়াতে হবে। কর অব্যাহতির হার কমাতে হবে। করের আয় ও কর অব্যাহতির পরিমাণ প্রায় সমান, যা বিশ্বের কোনো দেশে নেই। কর আদায়ে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই। যারা ডিজিটালাইজেশনে বাধা দিচ্ছেন, প্রয়োজনে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, কর সহায়তা দিয়ে বিশ্ব বাজারে টিকে থাকা যাবে না। রপ্তানি বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বাড়াতে হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে কাস্টমস রেভিনিউ কমবে। চলতি অর্থ বছরে কাস্টমস রাজস্ব ও ভ্যাট রাজস্ব প্রায় সমান এবং এরপর থেকে কাস্টমস রাজস্ব কমতে থাকবে।
ইআরডি সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকীর সভাপতিত্বে মূল আলোচনাকারী ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম (এসডিজি অ্যাফেয়ার্স, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) এবং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও এসডিজি অর্জন বিষয়ে উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত সচিব ড. রিয়াজুল বাশার সিদ্দিক।
কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের কর্মকর্তারা ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
এসএম